রিজেন্টের সাহেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৩ এপ্রিল

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত

রিজেন্টের সাহেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৩ এপ্রিল
রিজেন্টের সাহেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৩ এপ্রিল

প্রথম নিউজ, ঢাকা :  মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স নিয়ে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। বিচারক বদলি হওয়ায় এবং মামলার কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় বিশেষ জজ আদালত-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইকবাল হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে উল্লিখিত অন্য আসামিরা হলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী মামলাটি দায়ের করেন। হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা করা হয়। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছেন। ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: