যুক্তরাষ্ট্রে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না ২ কোটির বেশি মানুষ
করোনাভাইরাস মহামারিতে সারাবিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও চাকরি হারিয়েছেন অনেকে
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিতে সারাবিশ্বের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন বহু মানুষ। এ ধরনের লোকদের আর্থিক দুর্দশা কাটাতে মোটা অংকের ত্রাণ সহায়তা কর্মসূচি শুরু করেছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে ফুরিয়ে এসেছে তার সময়সীমা। এর মধ্যেই রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। এতে আবারও আর্থিক অনটনে পড়েছে অনেক পরিবার। বাড়ছে ক্ষুধার জ্বালা। সম্প্রতি মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর এক জরিপ বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ছিল না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাসিক ‘চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট পেমেন্ট’ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো আরও চাপের মুখে পড়তে পারে। এই কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব পাসের চেষ্টা সিনেটে আটকে রয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি জরিপ চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আদমশুমারি ব্যুরো। ‘হাউসহোল্ড পালস সার্ভে’ নামে ওই জরিপে দেখা যায়, দেশটিতে মাঝেমধ্যে বা প্রায়শই যথেষ্ট খাবার না পাওয়া পরিবারের সংখ্যা চলতি মাসে ৯ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন খাদ্যপণ্যের দাম এক বছরের আগের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। সেখানে ফুড ব্যাংকগুলোতে চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। অপুষ্ট ও কম খাদ্য পাওয়া শিশুদের সাহায্য করা ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
দেশটিতে বছরে দেড় লাখ ডলারের কম উপার্জনকারী ‘দুই অভিভাবক পরিবার’ চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট পেমেন্টের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এর আওতায় ছয় বছরের কম বয়সী প্রতিটি শিশুর জন্য মাসিক ৩০০ ডলার এবং ১৮ বছরের কম বয়সী প্রতিটি শিশুর জন্য মাসিক ২৫০ ডলার পান বাবা-মা। বার্ষিক দেড় লাখ ডলারের চেয়ে বেশি আয় করা পরিবারগুলো কিছুটা কম অর্থসহায়তা পান।
গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদমশুমারি ব্যুরো পরিচালিত জরিপ অনুসারে, বেশিরভাগ অভিভাবকই এ ধরনের সহায়তার অর্থ খাবারের পেছনে খরচ করার কথা জানিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের অর্থসহায়তা স্থায়ী হলে শৈশবকালীন দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
পরিবারগুলোর কাছে বর্ধিত চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিটের নির্ধারিত সব শেষ সহায়তা গত ১৫ ডিসেম্বর পাঠানো হয়েছে। এই কর্মসূচি ২০২২ সাল জুড়ে চালিয়ে যেতে চান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে তার প্রস্তাবটি সিনেটে বিরোধিতার মুখে আটকে গেছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: