‘মুরগি চুরিতেও ৮ পিস্তল নিয়ে যাই’, ছাত্রলীগ নেতার ফোনালাপ ফাঁস
প্রথম নিউজ, মাদারীপুর: এক নারীর সঙ্গে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজাহান খানের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এতে পরকীয়া প্রেম সম্পর্কিত নানা আলাপ এবং নিজের দাম্ভিকতা প্রকাশ পেয়েছে ওই ছাত্রলীগ নেতার।
ফোনালাপে তাকে বলতে শোনা যায়,‘মুরগি চুরি করতে গেলেও সাথে থাকে ৮টি পিস্তল। নারীদের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কও আছে। ফাঁস হওয়া ওই অডিও নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়, চলছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে এ নিয়ে হাস্যরসে মেতেছেন। শাহজাহান খান শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হালেম খানের ছেলে।
ফোনালাপের ফাঁস হওয়া অডিওতে ওই নারীকে ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান বলেন, ‘আমি মুরগি চুরি করতে গেলেও সাথে ৮টি পিস্তল নিয়ে যাই। আপনি আমার কথা রেকর্ডিং করেন। তাতে কিছুই হবে না। জবাবে ওই নারী বলেন, ‘আপনি কষ্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা হয়ে অনেক মেয়েদের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছেন। পরে ছাত্রলীগ নেতা ওই নারীকে গালিগালাজ দেন।
পরে আরেক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের আরেকটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার। সেই অডিওতে শোনা যায়, সেই নারীকে কান্নার সুরে মিনতি করে ক্ষমা চান ও পুনরায় প্রেম করতে অনুরোধ করেন শাহজাহান খান। এক নারী বলেন, ছাত্রলীগের আড়ালে শাহজাহান খান কুকর্ম করে বেড়ায়। সে বলে, ‘আমি একশ’ মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করব, আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। ’ ওর (ছাত্রলীগ নেতা) বিচার হওয়া উচিত। তা না হলে আরো অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করবে শাহজাহান।
ফাঁস হওয়া অডিও দুটির ব্যাপারে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান খান বলেন, এসব কথোপকথন আমার নয়। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এডিট করে নেট দুনিয়া তা ছেড়ে দিয়েছে। এতটুকু বলতে পারি, আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়েজিত হাওলাদার বলেন, এমন অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের কানে আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্ত করে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।