মানিকগঞ্জে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি

মঙ্গলবার বিকালে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় হাজির হন এমপি মমতাজ বেগমের নৌকার সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার।

মানিকগঞ্জে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি

প্রথম নিউজ, মানিকগঞ্জ: নির্বাচনকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সমর্থকদের নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা কেটে ফেলার হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় হাজির হন এমপি মমতাজ বেগমের নৌকার সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী ইস্কান্দার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেয়াসহ নানা হুমকি-ধমকি দেন। ভিডিওতে আলী ইস্কান্দার বলেন, ‘ডা. জিলকদ নমিনেশন নিয়া আসছিল। জিলকদ ভাইকে ভোট দেয় নাই। এবার আমার দেখার আছে। আমি তো কেন্দ্রের ভেতরে থাকবো! নৌকাকে ভোট না দেয় কারা। হাত কাইটা ফালামু। আমি ইস্কান্দার। 

জিলকদের ভাই আমি। জিলকদকে ভোট দেয় নাই। এখানে ঘা। হাত কাইটা ফালামু। রেডি থাইকো। সাহস থাকে পাল্লা লইবা আমার লগে। কে আছে আমার এগিনেস্টে যাবে। লজ্জা করে না তোমাদের। দেখার আছে আমার। খোদার কসম দেখার আছে এইবার। চৌদ্দ শিকে ঢুকাইয়া ছাইরা দিমু। সরকার আমার, পাওয়ার আমার, প্রশাসন আমার, এমপি আমার। যাইও ভোট দিবার যাইও ট্রাক মার্কায়। ট্রাকের চাকার তলে (নিচে) ফালাই দিমু। ফাজলামো! হাড্ডি-মাংস এক কইরা ফালামু। প্রত্যেকটাকে গুলি করমু।’

ঘটনার সময় উপস্থিত রাহুল খান ইমু জানান, বিকাল ৪টার দিকে আব্দুর রাজ্জাক, মিনহাজ, আমিনুর, শাহিনুর ও মানিকসহ বেশ কয়েকজন কর্মী ইরতা এলাকায় হ্যান্ড বিল বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে ট্রাক মার্কায় ভোট চাইছিলেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন ইস্কান্দার। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হাত কেটে নেয়াসহ নানা হুমকি-ধমকি দেন। এ বিষয়ে ইস্কান্দার জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা টাকা ও চকলেট বিতরণ করছে খবর শুনে আমি সেখানে যাই। আমার ভাই ডা. জিলকদ এক সময় নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু তারা ভোট দেয়নি। এ কারণে মনে অনেক কষ্ট। উত্তেজিত হয়ে তাদের অনেক কথা বলেছি। আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম।