মাদারীপুরে শিশু হত্যায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে শিশু হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামে শিশু হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো— রাজৈর উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার (৩৮), কোদালিয়া বাজিতপুর গ্রামের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)।
এ ছাড়া এ মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজৈর উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (০৫)।
নিহতের বাবা টুকু সরদার বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন। এ সময় তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে মামলার চার আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলে তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে অদ্যাবধি পলাতক রয়েছে। মামলার রায়ের দিন মামলার এক আসামি রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিল। আজ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে একটাই দাবি এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়।
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদুরী নামে এক শিশুকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়। পরে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। আজ বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা এ মামলায় রায় প্রদান করেন। রায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: