মদপানের বিল চাওয়ায় ভাঙচুর, মুচলেকা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মুক্তি

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মদপানের বিল চাওয়ায় ভাঙচুর, মুচলেকা দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মুক্তি

প্রথম নিউজ, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতাসহ সংগঠনের ১২-১৩ জনের বিরুদ্ধে পর্যটন মোটেল বারে মদপান করে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ জুন) দিনগত রাতে রাজশাহী পর্যটন মোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইশতিয়াক আহমেদ। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রাজশাহী পর্যটন মোটেল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইশতিয়াক আহমেদসহ ছাত্রলীগের ১২-১৩ জন নেতাকর্মী রাজশাহী পর্যটন মোটেলে মদপান করতে যান। মদপান শেষে তাদের বিল হয় ৭ হাজার ২০০ টাকা। এসময় তারা বিল না দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন বারে কর্মরতরা বিল চাইলে নিজেদের ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেন এবং বিল না দিয়ে চলে যান।

একপর্যায়ে তারা বিল চাওয়ায় বারের কয়েকটি গ্লাস এবং দুটি মোবাইলফোন ভাঙচুর করেন। এছাড়া দুই কর্মচারীকে মারধরও করেন। এরপর মোটেল কর্তৃপক্ষ গেটে তালা দিয়ে নগরের রাজপাড়া থানায় খবর দেয়।

এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল কুমার নন্দী বলেন, তারা নিজেরাই ভুল স্বীকার করে পুলিশের কাছে মুচলেকা দেন। এরপর ৭ হাজার ২০০ টাকা বিল পরিশোধ করলে রাত ১০টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যেহেতু পুলিশ ডাকা হয়েছিল, তাই পুলিশ গিয়ে মীমাংসার কাগজটা নিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

রাজশাহী পর্যটন মোটেল বারের ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাঝেমাঝেই অনেকে মদ খেয়ে মাতলামি করে। তখন পুলিশ ডেকে মীমাংসা করতে হয়। শুক্রবার ছাত্রলীগ নেতারাও মোটেলে বসেই মুচলেকা দিয়েছেন। এরপর মদের বিল ৭ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করেন। এছাড়া বার এবং মোবাইলফোন ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, গতকাল পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। সকালে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনা কতটুকু সত্য সেটাও জানি না। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ এসেছে। এটি সত্য হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।