ভোটে জিতেও শান্তি নেই ট্রাম্পের!

ভোটে জিতেও শান্তি নেই ট্রাম্পের!

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিউইয়র্কে ঘুষের মামলায় সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। এর দুই সপ্তাহের মধ্যেই তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পর্ন তারকাকে দেওয়া ঘুষ সংক্রান্ত মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজার ঘোষণা করা হবে।
সেই মামলার রায় পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নিউ ইয়র্কের এক আদালতে আপিল করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আপিল আদালত। এই কারণে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি। 

এদিকে ট্রাম্পের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যেমন ভাবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায় না, তেমনই প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের ক্ষেত্রেও সেই রক্ষাকবচ বজায় থাকা উচিত।
তবে বিচারক সেই যুক্তিতে সায় দেননি। এদিকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ট্রাম্প উচ্চ আদালতে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। 

এর আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার রায় খারিজের আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই মামলায় মার্কিন বিচারক রায় দিয়েছিলেন, যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে নথি জালিয়াতির দায়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়া উচিত।
প্রথম নিউজ, অনলাইন;  উল্লেখ্য, এই নিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ট্রাম্পের মাথায় যদি এই মামলার খাড়া ঝুলতে থাকে, তাহলে তার শাসন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এরই সঙ্গে ট্রাম্পের আইজীবীর দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি যে রায় দিয়েছে, তাতে ট্রাম্পকে আর দোষী সাব্যস্ত করা যায় না এই মামলায়। 

তবে ৪১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক হুয়ান মারচান বলেন, 'ব্যবসায়িক নথি জাল করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের কোনও ঝুঁকি তৈরি করে না।' এই আবহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা খারিজে সায় দেননি বিচারক।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় মোট ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প।
এই আবহে ট্রাম্পই প্রথম 'প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট', যিনি কি না ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। তবে এবার তিনি আবারও প্রেসিডেন্টের গদিতে বসতে চলেছেন। 

প্রথম মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনও ফৌজদারি মামলার বিচারে হাজির হয়ে লজ্জার ইতিহাস গড়েছিলেন ট্রাম্প। আর সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েও ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন এই রিপাবলিকান।