বিয়ের চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা, অভিযুক্ত প্রেমিক গ্রেফতার
এই অভিযোগে সোমবার (১২ জুন) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পশ্চিম মাসদাইর এলাকা থেকে শহীদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আট বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল শহীদুল (৩৮) ও সালমা বেগমের (৩৭) মধ্যে। একসময় শহীদুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন সালমা। পরে বিয়ের কথা বলে ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিয়ে ধর্ষণের পর সালমাকে হত্যা করে পালিয়ে যান শহীদুল। এই অভিযোগে সোমবার (১২ জুন) মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পশ্চিম মাসদাইর এলাকা থেকে শহীদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকার জনসন রোডে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত সালমার সঙ্গে শহিদুলের সাত থেকে আট বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১০ জুন সালমা খুলনা থেকে শহিদুলের বরিশালের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে সালমা জানতে পারেন, প্রেমিক শহিদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পরে সালমা শহিদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। সামলারও আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং তার নবম শ্রেণিপড়ুয়া একটি মেয়ে আছে। সালমা বেগম খুলনা সদরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করতেন।
এরপর শহিদুল সালমাকে ঢাকায় আসতে বলে। ঢাকায় আসার পর শহিদুল সালমার সঙ্গে ১১ জুন বিকাল ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেখা করে। সেদিন রাত ১০টার দিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সালমাকে কেরানীগঞ্জের কোনাবাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় শহিদুল। সেখানে নিয়ে প্রথমে সালমাকে ধর্ষণ করে ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর সালমার মরদেহ যাতে শনাক্ত করা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে মুখ থেঁতলে চেহারা বিকৃত করে শহিদুল পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, গত ১১ জুন রাতে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে অজ্ঞাত এক নারীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে সিআইডির ক্রাইম সিনের সহায়তায় সালমার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর শহিদুল তার অবস্থান পরিবর্তন করে আসছিল। গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতো। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শহিদুলের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।