বেসরকারি শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে কর আরোপের বিধান বৈষম্যমূলক: বিএনপি
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বেসরকারি শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে ২৭.৫ শতাংশ কর আরোপের নতুন বিধান বৈষম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন। ‘বেসরকারি শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের নতুন বিধানের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে’ এ বিবৃতি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর ‘বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে ২৭.৫ শতাংশ কর আরোপ’ শিরোনামে প্রকাশিত, চলতি অর্থবছর থেকে বেসরকারি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মচারী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্জিত আয়ের ওপর কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই আয়ের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ২০২৩ সালের আইনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর কর আরোপের এই বিধানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি তহবিল ও শ্রমিকদের লভ্যাংশের তহবিলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক এবং করছাড় তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আয়কর আইনে সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডগুলোকে কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কর আরোপের বিধানে বেসরকারি ও সরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সমানভাবে বিবেচনা করা হয়নি। যা বৈষম্যমূলক।
তারা বলেন, বেসরকারি ও সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডের মধ্যে কর আরোপের ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখা ঠিক হবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, জমিদারি প্রথার মত সাধারণ মানুষের উপর কর আদায় বাড়াতে কর কর্তৃপক্ষ (সরকার) মরিয়া, যা মূলত কর ফাঁকিদাতা ও অবৈধ অর্থ পাচারকারীদের ধরতে সরকারের অক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। এই রাতের ভোটের জনসম্পৃক্ততাহীন সরকার, সরকারি কর্মকর্তাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সমানভাবে বিবেচনা করছে না।
‘সরকারের ছত্রছায়ায় যখন বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিয়ে এবং অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোঁকলা করে দিচ্ছে। দশ টাকার সরকারি কাজ একশ টাকা দিয়ে করাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ করছে। ঠিক তার উল্ট পাশে বেসরকারি খাতের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের বিধানটি সাধারণ মানুষের প্রতি চরম অন্যায় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বেসরকারি শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ওপর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে কর আরোপের নতুন বিধান বাতিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।