বাংলাদেশে এখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব- মার্কিন রাষ্ট্রদূত
সম্প্রতি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। বাংলাদেশে এখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। সম্প্রতি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। পিটার হাসের লিখিত বক্তব্যটি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতিকে সামনে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে আপনাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে চাই। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব থেকে বেশি সদস্য পাঠিয়ে আপনারা যে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন তা রীতিমতো অসাধারণ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল যেন অবাধ, মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিতে আমরা এক হয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি নিশ্চিত করা গেলে আমাদের দুই দেশের মানুষ এবং এই অঞ্চলের দেশগুলো আলাদা আলাদাভাবে তাদের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত করতে পারবে। মার্কিন সামরিক বাহিনী নিয়মিত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে।
এতে করে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি এবং প্রতিটি স্তরে আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং স্পেশাল অপারেশন ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ‘ফরেন মিলিটারি ফাইন্যান্সিং’ (এফএমএফ) এবং ‘ গ্লোবাল পিসকিপিং অপারেশনস ইনিশিয়েটিভের’ মতো কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করি। এর প্রধান দিক হচ্ছে, এগুলো অনুদান, কোনো ঋণ নয়।
পিটার হাস জানান, যুক্তরাষ্ট্র মাইন-রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রোটেক্টেড (এমআরএপি) সাঁজোয়া যান এবং রোবট বোমা সরবরাহ করেছে, যা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আরও সরবরাহ করা হয়েছে ‘সমুদ্র জয়’ এবং ‘সমুদ্র অভিযানের’ মতো ফ্রিগেট এবং চারটি সি-১৩০বি বিমান।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রদত্ত অনুদান কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ডকে তিনটি ভিন্ন ধরনের টহল বোট দেয়া হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশের আঞ্চলিক জলসীমা রক্ষা করতে সহায়তা করবে। গত বছর আমরা এসডব্লিউডিএস এবং প্যারা কমান্ডোদের ছোট মানববিহীন ড্রোন সরবরাহ করেছি। যুক্তরাষ্ট্র স্পেশাল অপারেশনস ইউনিটকে আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ, শরীর রক্ষাকারী ভেস্ট বর্ম, উন্নত বেতার ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। আগামী বছর আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী ব্ল্যাকজ্যাক ইউএএস, ৩৫-ফুট সেফ পেট্রোল বোট এবং জোডিয়াক রিজিড হাল বোটস সরবরাহ করতে যাচ্ছি। এই সিস্টেমগুলো বাংলাদেশকে জাতিসংঘের কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশের কাছে আরও উন্নত সামরিক সক্ষমতা বিক্রি করতে প্রস্তুত বলেও জানান পিটার হাস। তিনি বলেন, জিএসওএমআইএ নামে পরিচিত সামরিক তথ্য চুক্তির মধ্যদিয়ে এই পথচলা শুরু হয়েছে। এসব সরবরাহের পাশাপাশি মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ইউনিটগুলো ‘টাইগার শার্ক’ যৌথ মহড়ার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের এসডব্লিউডিএস ও প্যারা কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যৌথ ক্ষমতাকে উন্নত করতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ডিজেস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ’ (ডিআরইই) মহড়া চালিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশি এবং মার্কিন দল এই মাসের শুরুর দিকে গুয়াম দ্বীপে ২০২৩ ডিআরইই পরিচালনা করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আরও আনন্দিত যে, বাংলাদেশের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক’-এ সবার সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিকের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই ঘোষণার বেশ মিল রয়েছে। বিশেষ করে এ অঞ্চল দিয়ে নেভিগেশন ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতা বজায় রাখা, একটি উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে উন্নীত করা যা জাতিসংঘের সনদের মূলনীতিতে নিহিত রয়েছে এবং পরিবেশগত বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা করা।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো, এমন একটি বাংলাদেশ নিশ্চিত করা যেটি গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, বহুত্ববাদ, সহনশীলতা, সুশাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। সহজ কথায়, অন্যান্য শাসনব্যবস্থার তুলনায় মানবাধিকার রক্ষা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিতে গণতন্ত্র বেশি কার্যকরী। এই লক্ষ্যটি এখন বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, কারণ আমরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর রাখছি। আমি একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই: যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করে না।
পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সরকার, গণমাধ্যম থেকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীলসমাজ থেকে রাজনৈতিক দল, সবারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের কেউ যদি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় বা তাদের একজন যদি অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়ে। সুশীলসমাজ ও গণমাধ্যমকে হয়রানি-ভয় দেখানোর ঘটনা, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বিক্ষোভে সহিংস সংঘর্ষ আমাদের এই সত্যটি মনে করিয়ে দেয়। আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভিসা নীতি প্রসঙ্গ এনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সমর্থন করার জন্য আমরা মে মাসে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা সবার জন্যই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মানুষই নিজের ও পরিবারের জন্য উন্নত জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নাগরিকদের তাদের নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের স্বাধীনতা প্রদান করে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরপর বলেন, আমাদের তৃতীয় লক্ষ্য হলো একটি সামাজিক ও পরিবেশগত দিক দিয়ে স্থিতিস্থাপক দেশ হওয়ার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করা। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেয় বাইডেন প্রশাসন। বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দর দেশ হলেও ভৌগোলিক দিক থেকে দেশটি একটি নিচু বদ্বীপ অঞ্চল। এদেশের একটি দীর্ঘ উপকূল এবং বৃহৎ প্লাবনভূমি রয়েছে। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করে এবং আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রেখেছি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন চারগুণ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। এই অর্থ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় ব্যবহৃত হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য মার্কিন দূতাবাসের ৬০টিরও বেশি চলমান প্রচেষ্টা রয়েছে। তারা খাদ্য নিরাপত্তার মতো সমস্যাগুলোকে মোকাবিলা করে। নোনা জলে টিকে থাকতে পারে এমন ফসলের বিকাশে আমরা বাংলাদেশকে সহায়তা করছি। যুক্তরাষ্ট্র প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাবকে ধীর করার চেষ্টা করছে। এজন্য দেশীয় প্রজাতির গাছপালা এবং বনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিওপি২৭-এ যে ক্ষতিপূরণ তহবিলের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তা সরবরাহ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
পিটার হাস বলেন, ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজ’-এ বাংলাদেশ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা বাস্তবায়নে অর্থাৎ মিথেন গ্যাস হ্রাসে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছি আমরা। জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে স্মার্ট গ্রিড উন্নয়ন, সৌর ও বায়ু শক্তির সম্পদের মূল্যায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অর্থায়ন করছে। এরমধ্য দিয়ে কার্বনভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে দূরে সরে বাস্তবসম্মত উপায়ে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে টেকসইভাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। শ্রমের মান উন্নত করার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও প্রসারিত ও বৈচিত্র্যময় করা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করাও যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আট বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা প্রদান করেছে এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে কাজ করেছে। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাংলাদেশের সব থেকে বড় রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার স্থির উৎস যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, রোহিঙ্গারা শিগগিরই নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে সক্ষম হবে। আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মিয়ানমার থেকে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ছয় বছর পূর্তির কাছাকাছি চলে এসেছি। এ সময়ে (গত ৬ বছরে) তাদের স্বাগত জানানো ও আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য উদারতা ও সহানুভূতি দেখিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র; বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ২১০ কোটি ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে। আমরা আশা করি, রোহিঙ্গারা শিগগিরই নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে। তবে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো নিরাপদ নয়; এখনো স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয় না।
বক্তব্যের শেষে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি কূটনৈতিক সম্পর্ক উদ্যাপন করেছে। একসঙ্গে দুই দেশের এই ইতিহাস নিয়ে আমাদের গর্ব করা উচিত, তবে এখনো অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে যা আমরা করতে পারি। বাংলাদেশ তার প্রথম পঞ্চাশ বছরে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে এবং আগামী বছরগুলোতেও এসব চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, আগামী অর্ধশতক এবং তার পরেও সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।