ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাসান মুরাদ (৩৩), হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী এক নম্বর ওয়ার্ড ধোপা দিঘীর পাড় আকমল মিয়াজির বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে।  

ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকি, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পেছনের ধান ক্ষেতে মারধরের ঘটনায় আহমেদ হোসেন সোহেল নামে এক ব্যবসায়ীর করা মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকিদাতা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাসান মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাসান মুরাদ (৩৩), হাটহাজারী থানার চিকনদন্ডী এক নম্বর ওয়ার্ড ধোপা দিঘীর পাড় আকমল মিয়াজির বাড়ির দিদারুল আলমের ছেলে।  

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করার ঘটনায় ব্যবসায়ী আহমেদ হোসেন সোহেল হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলায় হাসান মুরাদ হাইকোর্ট থেকে ৩ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান।

এরপর থেকে মামলার বাদী সোহেলকে হত্যার জন্য ধারালো কিরিচ নিয়ে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরেফিরে সোহেলের অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া হাসান মুরাদ একাধিকবার সোহেলকে কাছাকাছি পেয়ে পথরোধসহ ধারালো কিরিচ নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কোন রকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এছাড়াও হাসান মুরাদ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে সোহেলের বাবহৃত মোবাইল নম্বরে হত্যার হুমকি অডিও ক্লিপ প্রদান করে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়। যাহাতে হাসান মুরাদ প্রকাশ্যে পেলে অর্থ্যাৎ ফেস টু ফেস হলে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদান করে।
গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, আহমেদ হোসেন সোহেল নামে এক ব্যবসায়ীর করা মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকিদাতা মো. হাসান মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

এর আগে মামলার বাদী সোহেল জীবনের নিরাত্তা চেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ চেয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুড়িশিয়াল মাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহার আদালতে আবেদন করে। আদালত আবেদনটি মামলায় নথিভুক্ত করেছেন। আদেশের জন্য রেখেছিল বলে জানিয়ে ছিলেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু সায়েম মোহাম্মদ নাসিম উদ্দীন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার বিষয়ে অবগত হয়ে মামলার বাদী সোহেলকে হত্যার পরিকল্পনার কথোপকথনের একটা ভয়েস রেকর্ড পাওয়া যায়। সেখানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাসান মুরাদ মন্তব্য করেন- তোকে আমি গালি দিছি? তুই আমার কথা এনা শুনবি। সোহলেকে বলবি য়ে, “তুই (গালি) পোলারে ঘরে গিয়ে মারবো। তুই মেডিক্যাল পড়ে ছিলি যে কে গেছে তোকে দেখার জন্য? মারি ফেলাবো (গালি) পোলা। গুলি তোর (গালি).... দিব। পিস্তল তিস্তল তোর (গালি) দিয়ে (গালি) দিব”। তোকে বলতেছি তুই দেখিস, সোহলেদরে সঙ্গে ফেইস  টু ফেইস হলে খোদার কসম র্মাডার হবে। (গালি) পোলাকে মেরে মেডিক্যাল পাঠাই দিছি যে কি হইছে? আমরা ওদের বিরুদ্ধে মামলা করছি। ওরা বৈঠক ডাকছে। বৈঠকে আমাকে ওসি, এসপি ফোন করছে। আবেদনে গণমাধ্যমে প্রকাশের যোগ্য নয় এই রকম আরও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।