বান্দরবানে আক্রান্তের এক ঘণ্টার মধ্যে ডায়রিয়ায় দুজনের মৃত্যু
মৃতরা হলেন ২ নম্বর তিন্দু ইউনিয়নের কামা চন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ে রুমাতি ত্রিপুরা (১৫) ও একই এলাকার জুমচাষি চন্দ্র ত্রিপুরা (৬৮)।
প্রথম নিউজ, বান্দরবান: বান্দরবানের থানচিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একদিনের ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৮ বছর। অপরজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তারা দুজনই মারা গেছেন আক্রান্ত হওয়ার একঘণ্টার মধ্যে।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) তিন্দু ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি মেম্বার জমারুং ত্রিপুরা ডায়রিয়ায় দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতরা হলেন ২ নম্বর তিন্দু ইউনিয়নের কামা চন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ে রুমাতি ত্রিপুরা (১৫) ও একই এলাকার জুমচাষি চন্দ্র ত্রিপুরা (৬৮)।
স্থানীয় ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১ জুলাই) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ডায়রিয়া আক্রান্তের ঘণ্টাখানিকের মধ্যে মারা যান চন্দ্র ত্রিপুরা। পরের দিন দুপুরে আক্রান্তের একঘণ্টার মধ্যে মারা যায় রুমাতি ত্রিপুরা নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। রুমাতি ত্রিপুরা ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়।
মৃত চন্দ্র ত্রিপুরা ২ নম্বর তিন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংতহা পাড়ার বাসিন্দা এবং রুমাতি ত্রিপুরা একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেমন্ড পাড়ার কামা ত্রিপুরার মেয়ে। পাড়াগুলো রেমাক্রী খালে নাফাখুম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও নেটওয়ার্কবিহীন দুর্গম হওয়ায় মৃত্যুর খবর আজ সকালে জানা যায়।
ইউপি মেম্বার জমারুং ত্রিপুরা জানান, পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আসা খালের ময়লা ও দূষিত পানি পান করায় ওই দুজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তিন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যন ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, তার ইউনিয়নে দুজন লোক মারা যাওয়ার খবরটি শুনেছেন। তবে ঠিক কী কারণে মারা গেছেন এ মুহূর্তে বলতে পারছেন না। কারণ এলাকাটি দুর্গম ও নেটওয়ার্কবিহীন। এলাকাবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় ওষুধ পাঠাতে চেয়েছিলাম। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে নিরাপত্তার অভাবে সেখানে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে একই ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।