বাজেটে সরকারের বেসামাল অবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

শুক্রবার গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ‌এক বিবৃতিতে‌ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানানো হয়।

বাজেটে সরকারের বেসামাল অবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের অসহনীয়  দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক নৈরাজ্য ও  বৈষম্য আরও বিস্তৃত করবে করবে বলে মনে করছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের নেতারা বলেছেন, বাজেটে সরকারের বেসামাল অবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে। জনগণের প্রতি সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অসংবেদনশীলতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাজেট প্রস্তাবনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার যেমন কোনো নির্দেশনা নেই। তেমনি বাজারের নৈরাজ্য থেকে জনগণকে রক্ষারও কোনো কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রস্তাব নেই। জীবনযাত্রার অসহনীয় ব্যয়ভার ও বাজারের আগুনে পুড়তে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির কোনো খবর নেই। বরং নতুন নতুন দুর্যোগের আশংকা সৃষ্টি করেছে।

শুক্রবার গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ‌এক বিবৃতিতে‌ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানানো হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কঠিন সময়ে সরকারের খরচ কমিয়ে আনার পরিবর্তে রাজস্ব ব্যয় আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প,কৃষির মতো মৌলিক খাতসমূহে প্রয়োজনীয় মনোযোগ পায়নি। বরং আইএমএফের সামান্য ঋণ পেতে অনেকগুলো খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে করে জনগণকে নতুন বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকা যখন গুরুতর হুমকির মুখে। তখন রিটার্ন জমাসহ ৪০ রকম সেবা পেতে শুরুতেই কর ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সামিল। সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার কারণে এখন বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সাধারণ মানুষের ওপর নতুন নতুন করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণের দায়ও শেষ পর্যন্ত চাপানো হবে সাধারণ মানুষের ওপর।

বিবৃতিতে  আরও বলা হয়, সীমাহীন গোঁজামিলের বাজেটে বিনিয়োগে আশাবাদী হওয়ার মতো যেমন কিছু নেই, তেমনি মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনারও কোনো কার্যকরী উদ্যোগ নেই।