বগুড়ায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

বগুড়ায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রথম নিউজ, বগুড়া : বগুড়ায় আল আমিন (১৭) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদ শেখ, ইয়াকুব আলী শেখ, মঞ্জু শেখ, নয়ন শেখ, সোহাগ শেখ, মাছুম শেখ, আব্দুর রাজ্জাক শেখ ও খোরশেদ শেখ। এরা সবাই গুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

এদের মধ্যে ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আর বাকি সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। 

নিহত আল আমিন বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ী এলাকার বাদশা শেখের ছেলে। সে কড়াই নির্মাণের কারখানায় কাজ করত। ২০১৯ সালের ৬ জুন তাকে প্রতিবেশীরা পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ জুন সদর থানায় ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তার বাবা বাদশা শেখ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, নিহত আল আমিনের বড় চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে ৬ জুন সকালে বাড়ির উঠানে চাচাকে মারধর করেন আসামিরা। এটা দেখে আল আমিন বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর শুরু করেন আসামিরা। ওই সময় আল আমিনের পেটে ধারালো অস্ত্র সুড়কি দিয়ে আঘাত করা হয়। আঘাতের কারণে আল আমিন মাটিতে পড়ে গেলে তাকে লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যায় আল আমিন।


তিনি বলেন, মামলার শুনানিতে অভিযোগের বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়। এ জন্য বিচারক ফরিদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি সাতজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। এ ছাড়া মামলার এজাহারের আরও তিন নারী আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না থাকায় তাদের খালাস দেওয়া হয়। রায়ের পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের রায়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নিহতের মা নাছিমা বেগম বলেন, ওরা আমার চোখের সামনে ছেলেকে হত্যা করেছে। এই মামলা চলা অবস্থায় ওরা আমাদের অনেক হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এই রায়ে আামি খুশি। তবে আমার দাবি ওরা উচ্চ আদালতে গিয়ে যেন রায় পরিবর্তন করতে না পারে।