পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন সাংবাদিক

আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন সাংবাদিক

প্রথম নিউজ, বরিশাল: অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া এবং শেয়ার করার অভিযোগে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেছেন দানিসুর রহমান লিমন নামে এক সাংবাদিক। তিনি দৈনিক আমার সংবাদের বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।

আদালতের বিচারক গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার (২১ মে) মামলাটি দায়ের করেছেন বাকেরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি দানিসুর রহমান লিমন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী নুরুল ইসলাম কাকন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নলুয়া গ্রামের গিয়াস হাওলাদারের ছেলে সাব্বির হোসেন সাগর, রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিহারীপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের পুত্র সায়েক আহাম্মেদ, ভরপাশা ইউনিয়নের মৃত হাতেম আলী জোমাদ্দারের ছেলে জোমাদ্দারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া ও পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের নান্না মীরার ছেলে নাইম আহাম্মেদ শুভ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মামলার উল্লোখিত ৫ জন আসামি তাদের ৫টি নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বাদীর ছবি এডিট করে তার নামে সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন লেখা লিখে পোস্ট ও শেয়ার দিয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের-২০১৮ এর অপরাধের শামিল। এতে তার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। 

মামলার বাদী সাংবাদিক দানিসুর রহমান লিমন অভিযোগ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া জালজালিয়াতি করে ওয়ারিশ সনদ দিয়ে এক সংখ্যালঘু হিন্দু নারী বীনার জমি দখল করলে নেয় এবং চলতি এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনুর কন্যাকে অনৈতিক সুবিধা দিতে সহায়তা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেন্দ্র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। এ নিয়ে তিনি ও তার সহকর্মীরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানের স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ সিকদার আক্রোশ পোষণ করেন। এ কারণে মামলায় উল্লেখিত আসামিরা নিজেদের ব্যবহৃত কয়েকটি ফেসবুক আইডি থেকে তার ছবি এডিট করে বিভিন্ন অশ্লীল লেখা লিখে পোস্ট ও শেয়ার করেছেন। এতে তার সামাজিক সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।