প্রহসনের নির্বাচনকে না বলুন : ড. রেজাউল

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত, বিরোধীদলবিহীন কথিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান এবং দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রহসনের নির্বাচনকে না বলুন : ড. রেজাউল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাজানো, পাতানো, তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন বর্জন এবং ভোটদান থেকে বিরত থেকে দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিরোধী সরকারের সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন, ভোটারদের ভোটদান থেকে বিরত, বিরোধীদলবিহীন কথিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যান এবং দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য  মাহবুবুল আলম, মাজহারুল ইসলাম, গাজী মনিরুল ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি সালাহউদ্দীন।

ড. রেজাউল করিম বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই দেশে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি করেছে। তারা দেশের জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। এমনকি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে দাসপ্রবণ ও আত্মসম্মানহীন লোকদের নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনকে প্রতিপক্ষহীন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামুক্ত রাখার জন্যই কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনের নামে কানামাছি খেলা শুরু করেছে। আর এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে নাম-পরিচয়হীন রাজনৈতিক এতিম ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহীন নির্বাচনী ভিক্ষুকদের। তাই সচেতন জনতা মাফিয়াতন্ত্রীদের পাতানো খেলায় কোনভাবেই পা দেবে না এবং সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেবে না।  

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচনী ময়দানকে ফাঁকা করার জন্যই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। তারা নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে সাজা দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এসব করে বাকশালী ও ফ্যাসিবাদীদের শেষ রক্ষা হবে না।

মিরপুরে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ: মিরপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে চলমান গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরে সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফকরুদ্দীন মানিকের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য টুটুল, জামায়াত নেতা আবু নাঈম, জাহাঙ্গীর আলম, রেদওয়ান, ছাত্র নেতা নাজমুল ও সদস্যবৃন্দ।

কারওয়ানবাজারে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ: গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিলি করেন জামায়াতে ইসলামি ঢাকা মহানগর উত্তর হাতিরঝিল অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা। 

এছাড়া ভাষানটেক, কাফরুল, খিলগাঁও তালতলা, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, মোহাম্মদপুর, বনানী, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলা নগর, রূপনগর, দক্ষিণ খান, উত্তর খানসহ সাংগঠনিক ৫৩ থানা এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে দলটি।