প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক শুমারিতে অনলাইন ব্যবসা
অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের অধীনে হচ্ছে এই শুমারি কার্যক্রম।
প্রথম নিউজ, অনলাইন : অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন নির্ধারণ করতে শুরু হয়েছে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি। এই শুমারির মাধ্যমে দেশের ছোট-বড়-মাঝারি আকারের কলকারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ, আয়-ব্যয়, শ্রমিকের সংখ্যাসহ নানা তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে। অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের অধীনে হচ্ছে এই শুমারি কার্যক্রম। এ বছরের গণনায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ি থেকে পরিচালিত অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা। এর ফলে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ৭ জুলাই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু করে। গণনাকারীরা আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িভিত্তিক অনলাইন ব্যবসাকে তালিকাভুক্ত করবে। প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, 'এ বছর ১৪ ধরনের প্রশ্ন থাকলেও ২০১৩ সালে ছিল চার ধরনের। প্রথমবারের মতো সব ধরনের ই-কমার্স কার্যক্রমের তালিকা হবে।
এই উদ্যোগটি দেশে অনলাইনে পরিচালিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমেরই প্রতিফলন। সম্প্রতি, বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল ব্যবসা প্রসারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে ই-কমার্স, এফ-কমার্স, ই-বাণিজ্য ও ফ্রিল্যান্সিং বেড়েছে। আমরা এই গণনায় সব অনানুষ্ঠানিক খাতকে আনতে চাই।'
দেশে প্রথম অর্থনৈতিক গণনা হয় ১৯৮৬ সালে। দ্বিতীয় জাতীয় জরিপ হয় ২০০১-২০০৩ সালে। তৃতীয়টি হয় ২০১৩ সালে। গণনা প্রকল্পে সরকারের খরচ হবে ৫৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।