পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের মামলায় আসামি ছাত্রলীগকর্মী

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, এই মামলা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমি মামলার কাগজেও সই করিনি। কে আসামি তাও বলতে পারি না। এটা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জিজ্ঞাসা করেন।

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগের মামলায় আসামি ছাত্রলীগকর্মী

প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে গত ২০ মে বিএনপির জনসমাবেশ কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

এ ঘটনার একদিন পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়। এতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তবে এরই একটি মামলায় আসামি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের এক সক্রিয় কর্মীর নাম নিয়ে সমালোচনা চলছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী সবুজবাগ ৯ নম্বর লেনের বাসিন্দা মো. লিটনকে ১৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

নাসিরের করা মামলায় দাবি করা হয়, গত ২০ মে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে শহরের মুসলিমপাড়া এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। ওই মামলায় পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক শিপুল খানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, এই মামলা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমি মামলার কাগজেও সই করিনি। কে আসামি তাও বলতে পারি না। এটা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে জিজ্ঞাসা করেন।

মামলার আসামি ছাত্রলীগকর্মী লিটন সিকদারের ফেসবুক ওয়াল ঘুরে দেখা যায়, তিনি নিয়মিত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। এরকম অনেক ছবি-ভিডিও তার ফেসবুকে পোস্ট করা আছে।

এ বিষয়ে লিটন সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিষয়টি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে, ঠিক করা হচ্ছে।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।