নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন চায় যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক ব্রিফিংয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার পাশাপাশি তাতে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক ব্রিফিংয়ে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, ‘আমার কেবল এক লাইনের প্রশ্ন রয়েছে; সেটি হলো— বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। সেই দাবির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে কিনা।

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে গতকাল বা তার আগের দিন কিংবা তারও আগে আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।’

উত্তরে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আপনি সঠিক। এ রকম একটি প্রশ্ন আগেও করা হয়েছিল এবং আপনি উত্তর দিয়েছিলেন যে, অন্য সবার মতো যুক্তরাষ্ট্রও চায় যে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।

বেদান্ত প্যাটেল : হ্যাঁ, এখনও আমরা তা ই চাই— সাংবাদিক : কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আপনারা সমর্থন করছেন কি না— হ্যাঁ অথবা না।

বেদান্ত প্যাটেল : আমি যা বলেছি তা আপনারা আগেও শুনেছেন; আবারও বলছি—কোনো নির্দিষ্ট সরকার বা রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করছি না। আর যদি নির্বাচনের কথা আসে, সেক্ষেত্রে আমরা বলব— আমরা আশা করছি এমন একটি নির্বাচন, যেটি হবে অবাধ, সুষ্টু এবং যেখানে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটবে।

দেশে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক বছর আগেই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সংবাদমাধ্যমে সরকার ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিতও হচ্ছে নিয়মিত।

যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারটিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে— জানতে চাওয়া হয় বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে। উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ মুখপাত্র বলেন, ‘গত বছর আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ তম বছর উদযাপন করেছি। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে আমরা বাণিজ্য, জলবায়ু, নিরাপত্তাসহ সম্ভাব্য ও কার্যকর সব খাতে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে চাই।’