নাটোরে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ কয়েদির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের  

পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন।

নাটোরে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ কয়েদির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ স্বজনদের  
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: নাটোর জেলা কারাগারে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে মাদক মামলার আসামি ওসমান শেখ (৩৩) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারাগার থেকে আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ভোর ৪টার (১৮ মার্চ) দিকে আনছের আলী নামে হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়।  

তবে কয়েদি ওসমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন। ওসমানের বাড়ি সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম হাগুড়িয়া গ্রামে। তার বাবার নাম নুরু শেখ।

স্বজনরা জানান, গত ১৪ মার্চ মাদক গ্রহণের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার সাজা হয়। ওইদিন থেকেই ওসমান নাটোর জেলা কারাগারে কয়েদি হিসেবে বন্দি ছিলেন। গত রাত সোয়া ৭টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বোন জামাই মুকুল জানান, ওসমান কাঠমিস্ত্রির কাজ করতো। তার দুই ছেলে-মেয়ে। মেয়ে আলমিনার বয়স ৬, আর ছেলে আলিমের বয়স ৩ বছর। গত ৫-৭ বছর থেকে তার মাথায় মাঝে মধ্যে সমস্যা হলে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো।  তিনি দাবি করেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি, কারাগারের এক কয়েদি ওসমানকে এক গাঁজা দেয়। ওই গাঁজা পাওয়ার পর পুলিশ তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পরে। এরপর সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।’

তবে জেল সুপার আব্দুর রহিম দাবি করেন, ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী ওসমান গত ৮ বছর ধরে মাদকাসক্ত। এ কারণে জেলখানায়ও সে প্রায় অসুস্থ হয়ে জেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতো। যেদিন জেলে আসে সে সময়ে তার কাছে গাঁজা পাওয়ায় তা জব্দ করা হলেও কোনও নির্যাতন করা হয়নি। আর অসুস্থ হওয়ার আগেও তার কাছে গাঁজা পাওয়া বা তাকে নির্যাতনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে নাটোর জেলা কারাগারের আরও এক কয়েদির মৃত্যু হয়। কয়েদির নাম আনছের আলী। তিনি পাবনা জেলার চক ভানুরা গ্রামের ভানুর ছেলে। গত ১৭ জানুয়ারি জেলার লালপুর উপজেলার একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তিনি কারাগারে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার পর তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷। সেখানে ৩ টা ৫৮ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। জেল সুপার আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom