নিখোঁজের তিন দিন পর ধলেশ্বরী নদীতে পাওয়া গেল ২ তরুণকে

আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাঠপট্টি লঞ্চঘাট ও নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিখোঁজের তিন দিন পর ধলেশ্বরী নদীতে পাওয়া গেল ২ তরুণকে
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর ধলেশ্বরী নদী থেকে রিয়াম (১৭) ও আলমগীর হোসেন (১৮) নামে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাঠপট্টি লঞ্চঘাট ও নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কাঠপট্টি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরের নাম রিয়াম হোসেন (১৭)। সে ভোলার চরটিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। রিয়াম পরিবারের সঙ্গে মিরকাদিম পৌরসভার মাস্তান বাজার এলাকায় ভাড়া থাকত। নয়াগাঁও থেকে উদ্ধার তরুণের নাম আলমগীর হোসেন (১৮)। আলমগীর মুন্সিগঞ্জ সদরের গোসাইবাগ এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে কাঠপট্টি ঘাট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসছিল। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নয়াগাঁও এলাকা থেকে আলমগীর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। লাশের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। লোকমুখে শুনেছি, পাঁচজন নেশা জাতীয় দ্রব্য খেয়ে পানিতে নেমেছিল। এর মধ্যে তিনজন উঠতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রিয়ামের ভাই মো. হাসান অভিযোগ করে বলেন, সোমবার দুপুর ২টায় রুবেল, রনি, পারভেজ, রিয়াম আলমগীরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর বিকেলে রুবেল ও পারভেজ এসে বলছে, ফোন ও নগদ ৭০০ টাকা নিয়ে পালিয়েছে আলমগীর। এরপর তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার রাতে ৮-১০ জন এসে আলমগীরের খোঁজ করে। কেন খোঁজ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পরে জানতে পারবেন।

আজ সকালে ভাইয়ের লাশ পেয়েছি। গলায়, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে দাবি তার। নিহত আলমগীরের মামা মোহাম্মদ হোসেন বলেন,আমার একটাই ভাগ্নে। আমার বোনের আর কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। সোমবার ভাগ্নেকে ওর বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কমলাঘাট এলাকায় নেশা-পানি করেছে। এরপর আমার ভাগ্নেকে মেরে পানিতে ফেলেছে। অপূর্বর সঙ্গে আলমগীরের এর আগে ঝগড়া হয়েছিল। তখন ভাগ্নেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে মঙ্গলবার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom