দেশকে এগিয়ে নিতে আ.লীগের বিকল্প নেই : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী (১৮-২০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, নিরাপদ, সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে বর্তমান সরকারকে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির ভাগ্যাকাশে অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী (১৮-২০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, জিয়াউর রহমান যার নেতৃত্বে '৭৫ এর ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, সেই খুনি জিয়ার পক্ষে রাজপথে স্লোগান দেওয়া হয়, যা এ জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমার কী অনুভূতি হয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা আমার জন্য বেশ কঠিন। আমি শুনে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। তখন বেতারে এ সংবাদ শোনার পর বারবার মনে মনে ভেবেছিলাম এটা যেন সত্য না হয়। নির্মম, নিষ্ঠুর সত্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, জাতির পিতার জীবনাদর্শকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। সেজন্য গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামীতে দেশব্যাপী এ ধরনের পুস্তক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে খুব শিগগিরই দেশের আটটি বিভাগে বইমেলা আয়োজন করা হবে।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ৯টি দপ্তর-সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে।