দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক সংগঠন ও বিদেশি শাখা না রাখার পরামর্শ

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন

দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক সংগঠন ও বিদেশি শাখা না রাখার পরামর্শ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম বা যেকোনো নামেই হোক না কেন, না থাকার বিধান করা। দলের, যেকোনো নামেই হোক না কেন, বিদেশি শাখা না থাকার বিধান করার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়াও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

   বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে এমন সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে একটি স্থায়ী ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করা। (এ লক্ষ্যে ২০০৭ সালে গঠিত ‘স্থানীয় সরকার শক্তিশালী ও গতিশীলকরণ কমিটির আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার জন্য আইন সংশোধন করা। সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের এবং মেম্বার/কাউন্সিলরদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্থবহ ভূমিকা নিশ্চিত করার বিধান করা। স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীর জন্য আসন সংরক্ষণের বিধান করা। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের পূর্বে শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদপ্রার্থীদের হলফনামার মাধ্যমে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে ভোটারদের জানার অধিকার নিশ্চিত করা। 

এছাড়াও রয়েছে সংসদীয় আসনের ভোটার প্রতি ১০ টাকা হিসেবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণের বিধান করা, সকল নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা, নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারি করা, প্রার্থী এবং দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসংগতির জন্য শান্তির বিধান করা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।