দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির পেছনে সরকারের মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাই দায়ী: ড. মোশাররফ
প্রথম নিউজ, ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির পেছনে সরকারের মধ্যস্বত্ত্বভোগীরাই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সকা্লে কৃষক দলের এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ‘কৃষকের উতপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ ও সার,বীজ, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কৃষক দলের ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। ২২ বছর পর গত ১২ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান হলেও দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে এই আংশিক কমিটি গঠনের পর এটি কৃষক দলের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। কারণ একটাই তাদের মধ্যস্বত্তাবভোগীরা। এরা (মধ্যস্বত্ত্বভোগী) সকলেই আওয়ামী লীগ করে অথবা তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক।
তিনি বলেন, আজকে প্রশাসনকে দলীয়করণে করার ফলে তাদের কাছ থেকে জনগণ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। শুধু তাই নয় এই প্রশাসনও আওয়ামী লীগের সাথে সহযোগিতা করে আমাদের কৃষকের উতপাদিত পণ্যের দাম দিচ্ছে না। এই অবস্থায় আমরা কার কাছে দাবি করবো? এই সরকার নিজেরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের এবং তাদের দোশরদের লাভবান করার জন্য এই ঘটনা করছে, দ্রব্যমূল্যের বাড়ছে ও কৃষকরা তাদের পণ্যের দাম পাচ্ছে না।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার হটানোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারের কাছে দাবি করে কোনো লাভ নেই। জনগন এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো আজকে এজন্য দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা আশাবাদী এদেশের জনগনকে সংগঠিত করে বিএনপির নেতৃত্বে গণ আন্দোলন সৃষ্টি হবে। এই গণআন্দোলনের মুখে এই গায়ের জোরের সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে। বিএনপির নেতৃত্বে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই কাঙ্খিত আন্দোলনে আপনাদের সকলকে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, আজকে কৃষক দল যে দাবিতে মানববন্ধন করছে কৃষিপণ্য ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে। এটি সারাদেশের দেশের মানুষের দাবি। সরকারকে বলতে চাই, অনতিবলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। সারাদেশের মানুষ দাবি জানাচ্ছে- একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে যত দ্রুত ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু,সহ সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া, মহানগর দক্ষিন বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, কৃষক দলের সহ সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন, দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কৃষক দল নেতা আলহাজ খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম, এম জাহাঙ্গীর আলমসহ হাজারো নেতাকর্মী।