ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, আদালত বর্জনের হুমকি আইনজীবীর

ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, আদালত বর্জনের হুমকি আইনজীবীর

প্রথম নিউজ, ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলবিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন সাক্ষ্যগ্রহণে অনিয়ম হলে আদালত বর্জনের হুমকি দেন। 
তিনি আদালতকে বলেন, মাননীয় আদালত উনারা যেভাবে লিডিং প্রশ্ন করছেন, তাতে তো বিচার হবে না। এক কাজ করেন, আমরা চলে যাই একা একা রায় দিয়ে দেন। আমরা কোর্ট বর্জন করবো, উনাদের বসতে বলেন। সংবিধানের আলোকে বিচার করুন মাননীয় আদালত।  তিনি আরও বলেন, এ কেমন বিচার যেখানে সাক্ষীকে সাক্ষ্য শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে। উনারা মিস লিড করেই যাবেন আমরা তা শুনেই যাবো? আর এক লাইন বললে কোর্ট বর্জন করবো। এসময় আদালত বলেন, উভয়পক্ষের সহযোগিতা লাগবে। উনাকে উনার সাক্ষ্য নিতে দেন লার্নেড, বললেন বিচারক। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং সাক্ষ্যগ্রহণ চলে।
ড. ইউনূসের পক্ষে আরও ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত ৬ই জুন এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার শ্রম আদালত। পরে এ আদেশে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে গিয়েও হেরে যান ড. ইউনূস।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।