ডিম-কাঁচা মরিচের দাম লাগামহীন
রোববার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ফের অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম দ্বিগুণ বেড়ে ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। রোববার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তালতলা ও আগারগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এই মরিচের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। যদিও কাওরান বাজারে মরিচের দাম কিছুটা কম পাওয়া গেছে। এই বাজারে গতকাল সর্বোচ্চ ১৮০ টাকায় মরিচ বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ২০০ টাকা। মরিচের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিক্রেতারা বলেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম থাকে। কারণ, গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে যায়। এজন্য ফলনও আগের তুলনায় কম হয়। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার মরিচের দাম বাড়তে থাকলেও তা এখনো আমদানি করা হয়নি।
এদিকে ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই সপ্তাহ আগে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া ডিম এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। এই হিসাবে একটি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকার বেশি। অন্যদিকে ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি বাজারদরের প্রতিবেদনে তুলে ধরে টিসিবি জানিয়েছে, রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডিমের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কিছুদিনে সারা দেশে তীব্র দাবদাহের কারণে খামারে অনেক মুরগি মরে গেছে। এতে ডিমের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, এখন ডিমের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু ডিমের উৎপাদন কমেছে। এতে ডিমের দাম বেড়েছে।
এর আগে ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেলে ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। ডিমের উৎপাদন খরচ হিসাব করে গত ১৫ই মার্চ সংস্থাটি পণ্যটির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। যদিও বাজারে তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।