ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে সমকামী করা হচ্ছে: ইসলামী আন্দোলন
গতকাল জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলাৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। গতকাল জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলাৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে। আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী কিছু আলেম শরীফ-শরীফার গল্পকে বৈধতা দিয়েছে। লোভের কারণে শরীফ-শরীফার গল্পের মধ্যে ওই আলেমরা কোনো ত্রুটি দেখে না। আমাদের দাবি ছিল, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার। সে দাবি কর্ণপাত না করে ৫ হাজারের অধিক নাচ-গান শেখানোর টিচার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই। মুসলমানদের জন্য করা সলিমুল্লাহ ইউনিভার্সিটিতে নামাজ, ইফতার করতে আপত্তি থাকলেও মঙ্গলশোভা যাত্রা করতে কোনো আপত্তি নেই। দূরদর্শী প্ল্যান নিয়ে আগ্রাসনের কালো থাবা এগিয়ে আসছে। যারা শরীফ-শরীফার মধ্যে কোনো কিছু দেখে না, তারা আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী। ওরা ইসলাম ও দেশের দুশমন। এই সরকার তাদেরকে অর্থ দিয়ে লালন-পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষাই আলো। শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। মাদ্রাসার বইতে সালামের পরিবর্তে প্রণাম দেয়ার শিক্ষা দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসার পুস্তকে ছেলে মেয়েদের অবাধ চলাফেরা দেখানো হয়েছে। মা-বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল-তবলা দেয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদের একত্রে নাচতে-গাইতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ছেলে-মেয়েদের বন্ধুদের হাত ধরে চলতে শিক্ষা দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশকে ব্যারিকেড করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।