‘জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান বাড়াতে হবে’

‘জিডিপিতে বীমা খাতের অবদান বাড়াতে হবে’

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বীমা মানেই পিছিয়ে পড়া একটি শিল্প, যেখানে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ধরনের প্রচার প্রচারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে বীমা মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সম্পদের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। ফলে দেশের অর্থনীতি বিকাশে বীমা খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু জিডিপিতে বিমার অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ। অর্থনীতি বিকাশে জিডিপিতে বীমার অবদান বাড়াতে হবে। শনিবার রাজধানীর রামপুরায় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সদস্যদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকতা এস এম জিয়াউল হক এসব কথা বলেন। আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন। কর্মশালায় অংশ নেয়া সদস্যদের বীমা খাতের বিনিয়োগ, রিটার্ন এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকতা এস এম জিয়াউল হক বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোকে যেখানে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম সেখানে বিনিয়োগ করতে হয়। ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের প্রধান জায়গা হচ্ছে বন্ড। কিন্ত বন্ড থেকে যে আয় আসে সেটি খুবই অপার্যপ্ত। তাই ভালো রির্টানের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হয়। তিনি বলেন, ‘চার্টার্ড লাইফের বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশ রিটার্ন আসছে পুঁজিবাজার থেকে। অর্থনীতিতে বীমার অবদান বিষয়ে আরেক এক প্রশ্নের জবাবে চার্টার্ড লাইফের প্রধান ফাইন্যান্সিয়াল কর্মকর্তা মনজুর আহমেদ বলেন, আমাদের জিডিপিতে বীমার অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ। এই হার বাড়াতে হলে উন্নত দেশের ন্যায় ব্যাংক ইন্সুরেন্সসহ আরও সাত আটটি চ্যানেলে পলিসি বিক্রি করতে হবে। 

কোম্পানিটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, বীমা দাবি পরিশোধের হার ৭০ শতাংশের বেশি। মাত্র দুই তিনটা কোম্পানির কারণে মার্কেটের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। যারা ভালো করছে তাদের বিষয়ে গণমাধ্যম ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করলে বীমা খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত চার্টার্ড লাইফের সম্পদের পরিমাণ ৯৪ কোটি টাকা, লাইফ ফান্ডের আকার ৪৯ কোটি টাকা। ২০২২ সালে চার্টার্ড লাইফ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৭.৫০ কোটি টাকা।