চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ভারত, কিন্তু কেন?
পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভারত সরকার চিনি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বর্ষণ কম হওয়ায় ভারতে আখ চাষের ক্ষতি হয়েছে। ফলন কম, চিনিকলগুলি প্রয়োজনের তুলনায় আখ কম পাওয়ায় উৎপাদনও কম। ঘরোয়া বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ভারত সরকার চিনি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বোম্বে সুগার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক জৈন বলেছেন, দেশের অগ্রণী চিনি উৎপাদক সংস্থাগুলোর আশংকা যে, ৬.১ মিলিয়ন মেট্রিক টন চিনি প্রতিবছর দেশ থেকে রপ্তানি হয়। এবার তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ১লা অক্টোবর থেকে যে অর্থবর্ষ শুরু হবে তাতে চিনির উৎপাদন কমতে পারে ৩.৩ শতাংশ। উৎপাদন হতে পারে ৩১.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন চিনি।
মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক দেশের চিনি উৎপাদনের ৫০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করে থাকে। তাদের উৎপাদন ৩৮ শতাংশ কমে গেছে। ফলে পরিস্থিতি সংকটজনক বলে জানাচ্ছে রয়টার্স। চিনি শিল্পে এই আভ্যন্তরীণ পতন রুখতে হয় রপ্তানি বন্ধ অথবা রপ্তানি শুল্ক বাড়ানো ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই বলে সংবাদ সংস্থার ধারণা।