গ্রিস শ্রমবাজার : ৮ বছরে ৩০০ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

গ্রিস শ্রমবাজার : ৮ বছরে ৩০০ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ইউরোপের দেশ গ্রিসে সময়ের সঙ্গে বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা। দেশটিতে কৃষি, গার্মেন্টস, দোকানসহ নানা কাজের চাহিদা থাকায় ‍অনেকেই কাজের জন্য সেখানে যাচ্ছেন। তবে দেশটির দূতাবাস বাংলাদেশে না থাকায় বিদেশগামীদের যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবুও কষ্ট হলেও এই শ্রমবাজারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হার বাড়ছে।
তবে একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুহারও।

জানা গেছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কৃষি, বন, মৎস্য এবং পর্যটন খাতে চার হাজার কর্মীর শূন্যপদ বাংলাদেশ থেকে আগত কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করার পরিকল্পনা করেছে গ্রিস। সেই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশিরা গ্রিসে যাচ্ছেন। তবে দেশটিতে গিয়ে শ্রমিকরা অতিরিক্ত পরিশ্রমসহ নানা কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এই হার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউরোপে অন্য দেশের তুলনায় গ্রিসে বাংলাদেশিদের মৃত্যুহার অনেক বেশি। গত আট বছরে ৩ শতাধিক বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন গ্রিসে। এর মধ্যে ৩০০ একেবারেই শ্রমিক, যাদের পরিবার বাংলাদেশ থেকে হাসপাতালের বিল দিয়ে লাশ ছাড়িয়ে নেওয়ার খরচ বহন করার সামর্থ্য ছিল না।
তবে বাংলাদেশি কমিউনিটির উদার সহযোগিতায় গত আট বছরে এই ৩০০ লাশ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে। 

গ্রিসের সাংবাদিক মতিউর রহমান মুন্না জানান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় বেশির ভাগ ব্যক্তি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমানে গ্রিসে  বৈধভাবে আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই কাজের ক্ষেত্রে নিশ্চিত না হয়ে গ্রিসে না আসার আহ্বান জানান তিনি।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, ঋণ পরিশোধের চাপ থাকায় অতিরিক্ত কাজ করার প্রবণতা আছে প্রবাসীদের মধ্যে।
১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার কারণে নিয়মিত ঘুমানোর সুযোগ পান না প্রবাসীরা। এর বাইরে অবৈধভাবে থাকা অনেকের কাজের সুযোগ হয় না। তাদের প্রবাসের জীবনযাপনের খরচ দেশ থেকেই আনতে হয়। এসব কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। অধিকাংশ শ্রমিক মূলত স্ট্রক করেই মারা যান।