খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মুক্তি একাকার: রিজভী

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্রের মুক্তি একাকার: রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,'বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,জনগণের মুক্তি,গণতন্ত্রের মুক্তি এবং ফ্যাসিবাদী এই অবৈধ সরকারের পতন একাকার হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার(১৫ আগস্ট)বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গুলশানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন,' বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দুজনকে যদি তুলনা করা যায় এ রকম বেগম জিয়াকে দেখেছি সত্যের পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে আর শেখ হাসিনা সব সময় মিথ্যা কথা বলে অন্যায় অবিচার ষড়যন্ত্র করে।বেগম জিয়া সব সময় ন্যায়ের পক্ষে জনগণের পক্ষে ছিলেন এবং জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন। তার উপর এত অত্যাচার অবিচার করা হচ্ছে তার ছেলের উপর অত্যাচার অবিচার করা হচ্ছে তারপরও তিনি ন্যায়ের পথ থেকে সরে আসেননি জনগণের কাছে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন সেই ওয়াদা থেকে সরে আসেনি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন,' বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর এত অত্যাচার জুলুম খুন গুম তারপরেও তারা যদি সুযোগ পায় বিএনপির সমাবেশ গুলোতে আসে সমাবেশগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।বেগম খালেদা জিয়াকে সাড়ে পাঁচ বছর যাবত বন্দী করে রেখেছে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দেয়নি শেখ হাসিনা। বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম সুস্থ মানুষ তাকে আটক করার পরে একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশের মানুষ রেগে আগুন হচ্ছে তারপরেও শেখ হাসিনা কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তার কারণ হচ্ছে শেখ হাসিনা চায় বেগম খালেদা জিয়া তিলে তিলে শেষ হয়ে যাক। তিনি শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি এই দেশের মালিক জনগণ এদেশের মালিক না। তিনি এই দেশটাকে জমিদারি মনে করেন। 

তিনি বলেন,'শেখ হাসিনাকে যারা মেনে চলবে তারা হবে তার সৈনিক।আর যারা ভিন্নমতের তাদের কোন স্বাধীনতা থাকবে না তাদের কোন কথা বলার অধিকার থাকবে না। আর যদি কথা বলে তাহলে তাদের জায়গা হবে জেলখানায়।এটাই শেখ হাসিনার নীতি। এটাই শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি আরও বলেন,'বেগম খালেদা জিয়ার উপর এত অত্যাচার জুলুম করেও তাকে নতজানু করতে পারেনি। দেখুন বেগম জিয়া এত অসুস্থ তারপরও তাকে ভালোভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন তাহলে এই প্রধানমন্ত্রী কে কি বলবো? একে জল্লাদ বলা ছাড়া আর কিছুই নেই।

অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।