খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে : পলক

শুক্রবার (১৯ মে) সিংড়া উপজেলা কৃষি হলরুমে কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে : পলক

প্রথম নিউজ, নাটোর: বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (১৯ মে) সিংড়া উপজেলা কৃষি হলরুমে কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের সময় সারের জন্য ২১ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে। সিংড়া উপজেলায় ৬২ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে, তাদের বিনামূল্যে ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে সার ও বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনৈতির উন্নয়ন ঘটেছে। গ্রামের জীবন যাত্রার উন্নতি হয়েছে। গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত করেছে বর্তমান সরকার। আমাদের সম্পদ কম হলেও জনশক্তি আমাদের সম্পদে পরিণত হয়েছে। কৃষকদের রক্ত-ঘামের বিনিময়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।

পলক আরও বলেন, আগে একটা জমির পর্চা নিতে কৃষকদের কত ঘুরতে হয়েছে। এখন অনলাইনে আবেদন করে কৃষকরা জমির কাগজপত্র পাচ্ছেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ও পৌর ডিজিটাল সেন্টারে মানুষ সেবা পাচ্ছে। ২০০ ডিজিটাল সেবা মানুষ অনলাইনে পাচ্ছে। কৃষকদের ঘরে ঘরে সার পৌছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ইন্টারনেট সেবা গ্রামের মানুষ সহজে পেয়েছে। চলনবিলের মানুষ আগে উপজেলা সদরে আসতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগতো, এখন ১৫-২০ মিনিটে আসতে পারে। ১৩৬ কিলোমিটার খাল খননে চলনবিলে কৃষকদের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন কৃষকদের পাশে সরকার, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাশে ছিলেন। তারা শ্রমিক সংকটে ধান কেটে দিয়েছেন। সরকার চলনবিলের কৃষকদের ৭০ শতাংশ কৃষি ভর্তুকির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের ইচ্ছে আছে জন্য উপায় বের করি। সিংড়া উপজেলার ৫ লাখ মানুষ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে কৃষকরা অনেক সুবিধা ভোগ করছেন। কৃষকদের ছেলেমেয়েরা এখন দেশের জন্য কাজ করছে, ফ্রিল্যান্সিং করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে। সরকার এখন স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) মো. আল ইমরান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খন্দকার ফরিদ, সদ্য বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম তপন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৩ লাখ টাকা ভর্তুকি মূল্যে তিনটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার মেশিন, ৪০টি পাওয়ার থ্রেসার, ১০টি করে মেইজ শেলার ও পাওয়ার স্পেয়ার এবং একটি ক্যারেট ওয়াসার বিতরণ করা হয়েছে।