এবার শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালো নিউজিল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি তো এমনই হওয়া চাই। যার প্রতিটি পরতে পরতে থাকবে উত্তেজনার পরশ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি তো এমনই হওয়া চাই। যার প্রতিটি পরতে পরতে থাকবে উত্তেজনার পরশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি ম্যাচ- সব জায়গাতেই এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শেষ হচ্ছে ম্যাচগুলো। ভক্ত-দর্শকরাও টিকিটের পয়সা উসুল করে সর্বোচ্চ রস আস্বাদন করে যেন উপভোগ করছেন এই ম্যাচগুলো।
সোমবার রাতেও ঠিক এমন একটি ম্যাচ উপহার দিয়েছে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে মাত্র ৪ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কিউইদের করা মাত্র ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে গিয়ে ১৫৯ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান।
জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যদিও শুরু থেকে পাকিস্তানি ব্যাটাররা ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। রানই করতে পারছিলেন না কিউই বোলারদের সামনে। তবে, মিডল অর্ডারে পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে যান ইফতিখার আহমেদ। মাত্র ২৪ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস
ইফতিখারের এই ইনিংসই পাকিস্তানের সামনে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও পাকিস্তানের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ৩ বাউন্ডারি এবং ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি। অন্য আর দু’একজন ব্যাটার দাঁড়াতে পারলেই পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত হয়ে যেতো।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ফাহিম আশরাফ। ১৭ রান করেন ফাখর জামান, ১৬ রান আসে শাদাব খানের ব্যাট থেকে। ১০ রান করেন সাইম আইয়ুব। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজম আউট হন মাত্র ১ রান করে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৩ উইকেট নেন জিমি নিশাম। ২টি করে উইকেট নেন অ্যাডাম মিলনে এবং রাচিন রবিন্দ্র। ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও ইশ সোধি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার এবং অধিনায়ক টম ল্যাথাম ৪৯ বলে খেলেন ৬৪ রানের ইনিংস। ২৬ বলে ৩৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ১৭ রান করে উইল ইয়ং। ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মার্ক চাপম্যান। ১০ রান করে আউট হন জিমি নিশাম।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হারিস রউফ নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন শাদাব খান।