ইসরায়েলের সব সাঁজোয়া ব্রিগেড গাজায় মোতায়েন

ইসরায়েলের সব সাঁজোয়া ব্রিগেড গাজায় মোতায়েন

প্রথম নিউজ, অনলাইন:    আইডিএফের সব সাঁজোয়া ব্রিগেড এখন গাজায় অবস্থান করছে। যার মধ্যে রয়েছে ট্যাংক, সাঁজোয়া যানসহ অন্যান্য ভারী সামরিক যান। গাজায় মোতায়েনকৃত বাহিনীর মধ্যে রয়েছে গোলানি, প্যারাট্রুপার, গিভাতি, কমান্ডো, কফির, নাহাল, ৭ম, ১৮৮তম ও ৪০১তম ব্রিগেড। সঙ্গে রয়েছে রিজার্ভ ইউনিট।

বর্ধিত স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্যদের সবাইকে মোতায়েন করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।

এর আগে আইডিএফ জানায়, গাজায় তারা পাঁচটি সামরিক ডিভিশন চালাচ্ছে, যার অর্থ হলো ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কড়া হুঁশিয়ারি—হামাস যদি জিম্মি বিনিময়ের চুক্তিতে না আসে, তাহলে আরো জোরালো হবে আইডিএফের অভিযান।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৭৭ শতাংশই এখন ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে। এছাড়া ইসরায়েলি অবরোধের কারণে অনাহারে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। 

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্রমাগত গণহত্যা, জাতিগত নির্মূলের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার ৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে তারা।

এদিকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় অনাহারে মোহাম্মদ ইয়াসিন নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ শুরুর পর থেকে অনাহারে ৫৮ জনের মৃত্যু হলো।

গাজার চিকিৎসক ইজ্জেদিন শাহিন বলেন, এখন উপত্যকাটির সুস্থ শিশুদের ওপরও খাদ্যাভাবের প্রভাব পড়ছে।
 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৯০১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৫৯৩ জন।