ইবিতে আবারও নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ
সোমবার (১৯ জুন) রাত ২টায় লালন শাহ হলের ১৩৬নং গণরুমে এ র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুজন চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
প্রথম নিউজ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গণরুমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে দফায় দফায় মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আফিফ হাসান ও তন্ময় বিশ্বাসসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার এ ঘটনায় বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১৯ জুন) রাত ২টায় লালন শাহ হলের ১৩৬নং গণরুমে এ র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুজন চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ১৯ জুন রাত ২টায় তাকে ১৩৬নং গণরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অফিস, তন্ময়সহ কয়েকজন তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। এছাড়া তাকে যৌন হয়রানি করা হয়। পরে সে জিয়া মোড় আসে। জিয়া মোড় থেকে হলে গেলে হলগেটে আফিফ ও তন্ময় তাকে মারধর শুরু করে এবং মারতে মারতে আবার সেই মোড়ে নিয়ে আসে। এসময় তার জামা ছিড়ে যায় ও চশমা ভেঙে যায়। পরে বিচার করার জন্য ছাত্রলীগের রুমে নিয়ে আবার মারধর করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলের ছাদে মোবাইলে কথা বলছিলেন। পরে আফিফ ও তন্ময় তাকে ১৩৬ নং রুমে ডাকেন। তারা ম্যানার শিখানোর নাম করে তাকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী তার বিভাগের বড় ভাই ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ফাহিম ফয়সালকে বিষয়টি জানায়। পরে ফাহিম এসে ভুক্তভোগীকে হলে নিয়ে গেলে হল গেটে তাকে ধাক্কা দিয়ে আবার তারা ভুক্তভোগীকে মারধর করেন। পরে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের রুমে তাকে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগের নেতারা মীমাংসা করে দেন।
অভিযুক্ত আফিফ বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনিতেই একটু মনমালিন্য হয়েছিল। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সমাধান করে দিয়েছে। আরেক অভিযুক্ত তম্ময় একই কথা বলেন। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, সেদিন রাতে আমি হল গেটে ধাক্কাধাক্কি দেখে তাদের ডেকে বিষয়টা মিমাংসা করে দিয়েছিলাম। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী বিকেলে জানিয়েছেন যে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অভিযোগ উইথড্র করে নিয়েছে।
তবে অভিযোগ উইথড্র করার বিষয়ে কিছু জানেন না ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন। তিনি বলেন, আমি অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। অভিযোগপত্রে লিখে দিয়েছি বিষয়টি আমলে নেওয়া হলো এবং তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযুক্তদের ডেকে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। আগামীকাল অভিযুক্তদের ডেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।