আপিল বিভাগে কমছে বিচারক, চলতি বছরই হতে পারে নিয়োগ

চলতি বছর কোভিড-১৯ এ মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারক, আর অন্য একজন বিচারক অবসরে চলে গেছেন এবং তৃতীয় একজন বিচারক দীর্ঘ ছুটিতে রয়েছেন, যে ছুটি তার অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

আপিল বিভাগে কমছে বিচারক, চলতি বছরই হতে পারে নিয়োগ
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আবারও বিচারক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। যে কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি সময় লাগছে, বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিচার পাওয়ার সময়ও দীর্ঘ হচ্ছে। চলতি বছর কোভিড-১৯ এ মারা গেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারক, আর অন্য একজন বিচারক অবসরে চলে গেছেন এবং তৃতীয় একজন বিচারক দীর্ঘ ছুটিতে রয়েছেন, যে ছুটি তার অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত স্থায়ী হবে।

বর্তমানে দেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মাত্র পাঁচজন বিচারক ১৭ হাজার ৫০০ এর বেশি বিচারাধীন মামলার বিচারিক কাজ করে চলেছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ হতে পারে। এখন থেকে এক যুগ আগেও স্বাধীন বাংলার স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তির আগে ২০০৯ সালের ৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারকের সংখ্যা ছিল ১১ জন। কিন্তু এখন আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা পাঁচজন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন বিচারক নিয়োগ না হলে আগামী বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও বিশ্লেষকরা। কারণ দুই বিচারপতি- প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ১ জুলাইয়ের মধ্যে অবসরে যাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০২০ সালে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩৫০টি মামলা। ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৫ হাজার ২২৫টি। ৪৯ বছর আগে ১৯৭২ সালে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৪০৫৬টি। ওই বছর নিষ্পত্তি হয় ১১টি। এখন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৭ হাজারেরও বেশি। এমন করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ থেকে শুরু করে বিচারিক (নিম্ন) আদালত- সবখানেই দিনের পর দিন বাড়ছে মামলার সংখ্যা। প্রকট হচ্ছে মামলাজট। কিন্তু বছরের পর বছর মামলা বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি বিচারকের সংখ্যা। ফলে দেশের বিচারিক (নিম্ন) আদালত থেকে ধরে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগও চাইলে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে পারছে না।

অবসরে যাওয়া বিচারকদের শূন্যস্থানে সময়মতো নতুন বিচারক নিয়োগ না পাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বিচারপতির সংকট প্রকট হচ্ছে বলে সর্বোচ্চ আদালত সূত্রে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগেও বিচারকের সংখ্যা তুলনামূলক কম, যদিও গত ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে ১১ জনকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এখন হাইকোর্টের বিচারকের সংখ্যা ৯৫ জন, যদিও ২০১২ সালের জুন মাসেও হাইকোর্টে বিচারকের সংখ্যা ছিল ১০১ জন। বর্তমানে ৫ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। এদিকে হাইকোর্টের ৯৫ জন বিচারকের মধ্যে তিনজন বিচারপতিকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কাজ করছেন আরও তিন বিচারক।

তাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক সংকটের কারণে মামলার বিশাল চাপ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। তবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে সুবিধাজনক সময়ে আপিল বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগ করা হতে পারে। তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। বিচারকের সংখ্যা কমলে নতুন নিয়োগ করা হয়। আমি জানি যে আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা কমে গেছে। সর্বোচ্চ আদালতের জন্য নতুনদের নিয়োগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের আরও বিচারপতি নিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হেসেবে নিয়োগ দেন। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে প্রধান বিচারপতি করার আগে আপিল বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ফলে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা ছিল আটজন। কিন্তু একজনকে টপকিয়ে (জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের) বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী দীর্ঘদিন ধরে ছুটিতে চলে গেছেন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে আপিল বিভাগের অন্য একজন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান মারা গেছেন। সর্বশেষ বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ অবসরে চলে যাওয়ার পর বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারপতি রয়েছেন পাঁচজন। এ অবস্থায় বিচারক নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি বিচারপ্রার্থী জনসাধারণ ও আইনজীবীদের।

বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত থেকে শুরু করে নিম্ন আদালত, সবখানে যে হারে মামলার সংখ্যা বাড়ছে, সে তুলনায় আদালতগুলোতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ছে না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। এ অবস্থায় মামলাজট কমাতে ও বিচার কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগের বিষয়টিতে এখনই সর্বোচ্চ জোর দেওয়া জরুরি। বর্তমানে যে সংখ্যক মামলা রয়েছে, তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগে দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে তিনটি বেঞ্চ গঠন করা দরকার বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা। আইনজীবীরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগসহ হাইকোর্ট বিভাগেও বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে মামলার জটে একসময় বেসামাল হয়ে পড়বে বিচার বিভাগ। বিচারাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া উচিত। অধিকসংখ্যক বিচারক থাকলে আপিল বিভাগে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তিতে একাধিক বেঞ্চ এমনকি তিনটি বেঞ্চ গঠন করে দেওয়ার সুযোগ থাকে প্রধান বিচারপতির হাতে। যাতে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়ানো সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশনের) সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের একাধিক পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠন করতে পারেন না, কারণ মাত্র পাঁচজন বিচারক বিচারিক দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠনের জন্য তিনজন বিচারপতির প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিভাগের জন্য দু-তিনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গঠন করা হলে আরও মামলা নিষ্পত্তি হবে এবং আরও বেশি মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। বারের সভাপতি বলেছেন যে, তিনি শিগগির সর্বোচ্চ আদালতে আরও বিচারপতি নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবিলম্বে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করা উচিত। মামলার যে জট রয়েছে এই জট মুক্ত করতে হলে অবিলম্বে অ্যাপিলেড ডিভিশনে বিচারক নিয়োগ করা উচিত। কিন্তু কেন যে করা হচ্ছে না তা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ এএম আমিন উদ্দিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা সব সময় হয়। এছাড়া এখন আপিল বিভাগের আরও একজন বিচারক অবসরে চলে গেছেন। অবশ্যই সরকার বিচারক নিয়োগ দেবে বলে মনে করছি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ কবে নাগাদ হতে পারে এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক  আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি বিচারক নিয়োগ দেবেন, আর আমরা দেখবো। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির হার কমে গেছে। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা কম। এক সময় আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা ১১ জন ছিল। তাই চার-পাঁচজন নতুন বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলেও মতামত দেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে বিচার কাজ পরিচালিত হচ্ছে এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে (সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ) আমাদের জানামতে যদি ৯ জন বিচারক থাকতেন তা হলে তিনটা বেঞ্চ গঠন করা যেত। তিনটি বেঞ্চ গঠন করে আপিল বিভাগে যে মামলাজট লেগেছে আমাদের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে নিষ্পত্তির ফলে আমরা সুফল পেতাম। অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করার পাশাপাশি হাইকোর্ট বিভাগে আরও বিচারক নিয়োগের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, আমরা চাইবো যে সৎ, মেধাবি এবং যাদের কমিটমেন্ট আছে সেই ধরনের যোগ্য বিচারককে নিয়োগ করবেন। একইভাবে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। আমরা চাই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হোক। কারণ এই জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যেসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাতে জনমনে যে প্রশ্ন উঠেছে সেটা বিচারালয় ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, এমন একজন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি বলবেন যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ দেওয়ার দরকার নেই। প্রয়োজন তো অবশ্যই আছে কিন্তু কেন হচ্ছে না। আমার মনে হয় বিচারপতি নিয়োগ না করার ব্যর্থতা পুরোপুরি আইন মন্ত্রণালয়ের। কারণ সরকারের সঙ্গে যোগসূত্রের কাজটি আইন মন্ত্রণালয় করে। ফাইল করা থেকে শুরু করে কনসার্ন নেওয়া যেখানেই নিয়োগটি হোক রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যদি কথা বলতে হয় ওনাদের সঙ্গে কথা বলা খালি বাকি আছে। এই যোগসূত্রটা আইন মন্ত্রণালয় করে। মন্ত্রণালয় পুরোপুরি চুপ, কিন্তু কেন চুপ জানা নেই। মনজিল মোরসেদ বলেন, বিচারকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এর আগে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারকের সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জনকে নিয়োগ করেছিলেন। তারপরে বিচারকের সংখ্যা কমতে কমতে অনেক কমে এসেছে। তাই মনে করছি বিচারক আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কেন নিচ্ছেন না সেটা আমার কাছে বোধগম্য নয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom