আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড মুম্বাইয়ের

পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

 আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড মুম্বাইয়ের
আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড মুম্বাইয়ের-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। খারাপ সময় এর আগেও এসেছে। কিন্তু এতটা খারাপ কখনো আসেনি, এবারের আইপিএলে যতটা খারাপ হয়েছে। আইপিএলে গত ১৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় নিপতিত হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সবচেয়ে বড় কথা, এবারই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়েছে তারা।

এ নিয়ে এবারের আইপিএলে মোট ১১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে মুম্বাই। গ্রুপ পর্বে আর বাকি আছে তিনটি ম্যাচ। এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। যে ১১ ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে তারা।

সর্বশেষ সোমবার রাতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে তারা। সে সঙ্গে ২০০৯ ও ২০১৮ সালে গড়া নিজেদের লজ্জাজনক ইতিহাসও ভেঙে দেয় তারা।

ওই দু'বছরে সবচেয়ে বেশি, ৮টি করে ম্যাচ হেরেছিল মুম্বাই। এবার কলকাতার কাছে হারটি টুর্নামেন্টে রোহিত শর্মাদের নবম পরাজয়। সুতরাং, মুম্বাই পেছনে ফেলে দিয়েছে পুরনো ব্যর্থতার সব নজির। লিগে এখনও যে ৩টি ম্যাচ বাকি রয়েছে মুম্বাইর, তাতে তাদের হারের পরিমাণও আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আইপিএলে গত ১৫ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পারফর্ম্যান্স

২০০৮: ১৪ ম্যাচে ৭টি জয় ও ৭টি হার (১৪ পয়েন্ট)।
২০০৯: ১৪ ম্যাচে ৫টি জয়, ৮টি হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত (১১ পয়েন্ট)।
২০১০: ১৪ ম্যাচে ১০টি জয় ও ৪টি হার (২০ পয়েন্ট)।
২০১১: ১৪ ম্যাচে ৯টি জয় ও ৫টি হার (১৮ পয়েন্ট)।
২০১২: ১৬ ম্যাচে ১০টি জয় ও ৬টি হার (২০ পয়েন্ট)।
২০১৩: ১৬ ম্যাচে ১১টি জয় ও ৫টি হার (২২ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন)।
২০১৪: ১৪ ম্যাচে ৭টি জয় ও ৭টি হার (১৪ পয়েন্ট)।
২০১৫: ১৪ ম্যাচে ৮টি জয় ও ৬টি হার (১৬ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন)।
২০১৬: ১৪ ম্যাচে ৭টি জয় ও ৭টি হার (১৪ পয়েন্ট)।
২০১৭: ১৪ ম্যাচে ১০টি জয় ও ৪টি হার (২০ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন)।
২০১৮: ১৪ ম্যাচে ৬টি জয় ও ৮টি হার (১২ পয়েন্ট)।
২০১৯: ১৪ ম্যাচে ৯টি জয় ও ৫টি হার (১৮ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন)।
২০২০: ১৪ ম্যাচে ৯টি জয় ও ৫টি হার (১৮ পয়েন্ট, চ্যাম্পিয়ন)।
২০২১: ১৪ ম্যাচে ৭টি জয় ও ৭টি হার (১৪ পয়েন্ট)।
২০২২: ১১ ম্যাচে ২টি জয় ও ৯টি হার (৪ পয়েন্ট, এখনও ৩ ম্যাচ বাকি)।