অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা  বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের যুক্তি উপস্থাপন

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা  বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের যুক্তি উপস্থাপন

প্রথম নিউজ, ঢাকা : ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বাবুল চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী ও ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদুর রহমান খান।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে এ মামলায় যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনকালে তাদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করে দুদক।

এদিন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষে আগামী ২৮ আগস্ট আসামি পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের মধ্যে বাবুল চিশতী ও রাশেদ চিশতী কারাগারে এবং রুজী চিশতী ও মাসুদুর রহমান জামিনে আছেন। এর আগে, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেন। তিনি বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার মোট ২৫টি হিসাবে নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। হিসাবগুলোতে গ্রাহকদের হিসাব থেকে পাঠানো অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং নিজেদের নামে কেনা ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিল্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন।

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাবুল চিশতীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।