৮ বছর পর শেরপুরে হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
রোববার (২২ অক্টোবর) র্যাব-১৪, সিপিসি-১ এর স্কোয়াড্রোন লিডার আশিক উজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রথম নিউজ, শেরপুর: শেরপুর সদরের টালিয়াপাড়ায় মহুরী মো. গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় আট বছর ধরে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলতাফ হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রোববার (২২ অক্টোবর) র্যাব-১৪, সিপিসি-১ এর স্কোয়াড্রোন লিডার আশিক উজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আলতাফ শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে। লিডার আশিক উজ্জামান জানান, আলতাফকে রাজধানীর খিলক্ষেত রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিকে শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৪ জানায়, জামালপুর সদরের বাজারীপাড়ার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬৯) জামালপুর কোর্টে মহুরীর (আইনজীবীর সহকারী) হিসেবে কাজ করতেন। আলতাফ হোসেন কাজ করতেন জামালপুর বাস টার্মিনালের হেলপার হিসেবে। আলতাফের বন্ধুর স্ত্রী লেখাপড়া করার জন্য গোলাম মোস্তফা মহুরীর বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই নারীকে বাসা ভাড়া দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আলতাফ ও তার দুই সহযোগী গোলাম মোস্তফাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৫ সালের ৯ অক্টোবর মামলার কথা বলে মোস্তফাকে জামালপুর জেলা শহরের সকালবাজার এলাকায় মো. পারভেজ মিয়ার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান আলতাফ ও তার দুই সহযোগী। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মোস্তফাকে হত্যা করে আলতাফ এবং পরে মরদেহ গুম করার জন্য শেরপুর সদরের টালিয়াপাড়ার একটি ছন গাছের ঝোঁপে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
শেরপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোস্তফার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরদিন শেরপুর সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই আসামি আলতাফ পলাতক ছিলেন।