২৬৬ করেও ২৩২ রানে হারলো নেদারল্যান্ডস

প্রথম নিউজ, ডেস্ক :ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৬৬ রানের দলীয় সংগ্রহকে খারাপ বলার কোনো সুযোগ নেই। বরং ২৬৬ রান করে জয়ের নজির আছে অনেক। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের জন্য শুক্রবার ২৬৬ রানের সংগ্রহ যেনো কিছুই ছিল না। কেননা ২৬৬ রান করেও নিজেদের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা।
শুক্রবার আমস্টালভিনে স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই করেছে ইংল্যান্ড। তারা আগে ব্যাট করে বিশ্বরেকর্ড গড়ে দাঁড় করায় ৪৯৮ রানের সংগ্রহ। ফলে নিজেদের ইনিংসে ২৬৬ রান করলেও ২৩২ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ডাচদের।
নিজেদের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে আর হারেনি নেদারল্যান্ডস। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তারা হেরেছিল ২৩১ রানে। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৮১ রান করে ২৪২ রানের জয় পেয়েছিল তারা।
ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৪৯৯ রানের অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের দুই বল আগে অলআউট হয়েছে নেদারল্যান্ডস। সর্বোচ্চ ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার স্কট এডওয়ার্ডস। এছাড়া ৫৫ রান করেন ম্যাক্স ও'দাউদ।
এর আগে টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন কাল হয় নেদারল্যান্ডসের। শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জেসন রয় (১) সাজঘরের পথ ধরেন। ইংল্যান্ডের বোর্ডে তখন মাত্র ১ রান। কে জানতো, ডাচদের সামনে এমন দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে!
দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড মালান আর ফিল সল্ট গড়েন ১৭৮ বলে ২২২ রানের বিশাল জুটি। মালান আর সল্ট-দুজনই পেয়েছেন ওয়ানডেতে তাদের প্রথম সেঞ্চুরি।
৯৩ বলে ১৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১২২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সল্ট। ১০৯ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ডেভিড মালান করেন ১২৫।
তাদের দুজনকেও ছাড়িয়ে গেছেন জস বাটলার। মাঠে নামার পর ডাচ বোলারদের ওপর রীতিমত সুনামি বইয়ে দেন তিনি। ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেন বাটলার। ইংল্যান্ডের পক্ষে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম, প্রথমটিও তারই।
সুযোগ ছিল এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৬৪ বলে ১৫০ রানের রেকর্ড ভাঙার। একটুর জন্য সেটা পারেননি। তবে ৬৫ বলে ১৫০ রান স্পর্শ করেন জস বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭০ বলে ১৬২ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার, যে ইনিংসে চারের চেয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছেন দ্বিগুণ (৭ চার, ১৪ ছক্কা)।
দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ডি ভিলিয়ার্সের আরেকটি রেকর্ডও ছিল হুমকির মুখে। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৪ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৪৮ রানে। তবে শেষ পর্যন্ত ডি ভিলিয়ার্সের ১৬ বলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটিও অক্ষুণ্ন রয়ে গেছে।
১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের পক্ষে এটি দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম। ১৭ বলে সেঞ্চুরি আছে সনাথ জয়সুরিয়া, মার্টিন গাপটিল আর কুশল পেরেরার।
লিভিংস্টোন মাত্র ২২ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩০০ স্ট্রাইকরেটের বিধ্বংসী এই ইনিংসে ৬টি করে চার-ছক্কা হাঁকান ইংলিশ এই ব্যাটার।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews