হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজ ও চালের দাম

দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং চালের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা করে বেড়েছে।

হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজ ও চালের দাম
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজ ও চালের দাম বেড়েছে। অপর্যাপ্ত সরবরাহের অজুহাতে এসব পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা এবং চালের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা করে বেড়েছে।

জানা গেছে, দুদিন আগেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম আবারো কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর পরও বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজ মজুদ থাকায় দাম নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে মোকামে সররবাহ কমেছে। আগে প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, বাজারে কেউ যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে সেজন্য আমরা মনিটরিং করছি। প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দেশীয় কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং আমদানিনির্ভরতা কমাতে ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। 

এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৪ টাকা করে বেড়েছে। অটো মিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্বর্ণা জাতের চাল ৪৬-৪৮ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে ৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। মিনিকেট জাতের চাল ৬২-৬৪ টাকা বিক্রি হলেও তা বেড়ে ৬০ টাকায় পৌঁছেছে। তবে অন্যান্য জাতের চাল এখনো আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা সুব্রত কুণ্ডু বলেন, চাল আমদানি শুরু না হওয়ায় মিল মালিকরা বাজারে চাল ছাড়ছেন না। এতে সরবরাহ কমেছে।

দিনাজপুরের তাহমিদ অটো রাইস মিল মালিক মজিবর রহমান বলেন, সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে দাম বাড়ানোর অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। দু-তিনদিন ধরে চালের দাম একটু বাড়তি। এর কারণ হলো, কয়েক দিনের ব্যবধানে ধানের দাম বেড়েছে। তাছাড়া উৎপাদন খরচও বেশি। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ও চাল নিয়ে কারসাজি রুখতে দোকান ও মিলগুলোয় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom