হুদা কমিশনের পেনশন সুবিধায় একমত নয় আউয়াল কমিশন
প্রথম নিউজ, ঢাকা : সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো মেয়াদ শেষে নিজেদের জন্য পেনশন সুবিধা চেয়েছিল কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু সাবেক কমিশনের পেনশন সুবিধায় একমত পোষণ করেন না বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) কমিশনের অপর চার কমিশনারের জন্য সম্মানী, সুযোগ-সুবিধা, ছুটি, পেনশন ও প্রাধিকার নিয়ে একটি ‘স্বতন্ত্র প্রাধিকার অ্যাক্ট’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল হুদা কমিশন।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাবেক কমিশনের পেনশন সুবিধায় একমত নন বর্তমান কমিশন বলে জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। হুদা কমিশনে ইসির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইসি আলমগীর।
নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধার কোনো পরিবর্তন আসছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৯৮৩ সালের যে অধ্যাদেশ আছে, সে অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং হাইকোর্টের বিচারপতির সমান অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা সুযোগ-সুবিধা পান। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমান পাবেন। গত কমিশন খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন, তারা আবার সেটা ফেরত পাঠিয়েছে যে বর্তমান কমিশনের মতামত কী। তখন আমরা দেখলাম যে, খসড়া আইনে পেনশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা বলেছি যে, আমরা ওইটার সঙ্গে একমত নই।
ইসি আলমগীর বলেন, ১৯৮৩ সনের অধ্যাদেশ যেটা ছিল, সামরিক আইনে, যেগুলো বাতিল করা হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী সম্মানী ও ভাতা বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নিচ্ছি। নতুন করে সংযোজন বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তাই থাকবে। আগের কমিশন চেয়েছিল পেনশন কিন্তু আমরা একমত হইনি। নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা চেয়েছিল আগের কমিশন। সেটা আমরা বলেছি যুক্তিযুক্ত নয়।
এ প্রসঙ্গে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কমিশনে থাকাবস্থায় এরকম প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছিলেন। তবে কি প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম সেটা পরিষ্কারভাবে বলতে পারব। যেটুকু মনে পড়ে, সেটা হচ্ছে একজন সিইসি আপিল বিভাগের বিচারপতির ন্যায় সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর কমিশনাররা হাইকোর্টের বিচারপতির ন্যায় পেয়ে থাকেন। যেহেতু, বিচারপতিরা অবসরের পরে পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেহেতু সিইসিসহ কমিশনাররাও সেই সুবিধা পেতে পারে। এটাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তবে বর্তমান কমিশনের কাছে হয়তো বিষয়টি যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। এজন্য তারা এটা পক্ষে মত নাও দিতে পারে। বর্তমান কমিশনের স্বাধীন মতামত দিতে পারে, এটাতে আমাদের কোনো কিছু বলার নেই।