সাংবাদিক নাদিম হত্যার আসামী বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি নির্বাচিত

প্রথম নিউজ.জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করা হয়েছে। গত সোমবার দলীয় প্যাডে জামালপুর জেলা তাঁতী লীগের আহŸায়ক জাকির হোসেন রুকু এবং সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের যৌথ স্বাক্ষরে আগামী ৩ বছরের জন্য নাদিম হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামী সহিদুর রহমান লিপনকে বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাÐে সহিদুর রহমান লিপনের সংশ্লিষ্টতা জোড়ালোভাবে প্রকাশিত হওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তি প্রচÐভাবে ক্ষুন্নের অভিযোগে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মামলা দায়েরের আগের দিন ১৭ জুন বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছিলো জেলা তাঁতী লীগ। পরে মামলা দায়েরের সময় সহিদুর রহমান লিপনকে এজাহারে ১১ নম্বর আসামি করা হয়।
কমিটির বিষয়ে জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব আরমান হোসেন সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার আহŸায়ক জাকির হোসেন রুকু ভালো জানেন তার সাথে যোগাযোগ করেন। আহŸায়ক জাকির হোসেন রুকুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। সহিদুর রহমান লিপন এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে গত ২০ শে আগস্ট ৪২ দিনের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিনে রয়েছেন। অভিযুক্ত সহিদুর রহমান লিপন উপজেলার মালিরচর তকিরপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল করিমের ছেলে।
উল্লেখ্য, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। ১৫ জুন বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাদিমের। এই ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।