সাফজয়ী মেয়েদের দেড়কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা বাফুফে

সাফজয়ী মেয়েদের দেড়কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা বাফুফে

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার দিন মেয়েদের হাতে এক কোটি টাকার চেক তুলে দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এবার বাফুফের তরফেও মেয়েদের দেয়া হচ্ছে বড় অর্থ পুরস্কার। আজ বাফুফের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মেয়েদের দেড় কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল গত ৩০ অক্টোবর কাঠমান্ডুতে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে। নেপালে মেয়েদের সাফ ব্যস্ততার মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকায় বাফুফের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটি আজই বাফুফে ভবনে প্রথম সভায় মিলিত হয়। সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল মেয়েদের সাফ জয়। মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, সাফজয়ী দলটিকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। সেই সঙ্গে অর্থপুরস্কারও। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি।

শুধু খেলোয়াড় নয়, দলের সঙ্গে থাকা সবাই এই পুরস্কারের আওতায় আছেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যারা এই দলের সঙ্গে ছিল, প্রতিটি সদস্য এই বাফুফের এই পুরস্কার পাবে।’

বাফুফের আর্থিক সংকট অনেক। মেয়েদের বেতনই মাঝে-মধ্যে বকেয়া পড়ে যায়। সেখানে বাফুফের পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা পুরস্কার প্রদান বেশ কষ্টসাধ্যই। এই প্রসঙ্গে বাবু বলেন, ‘আমরা দেড় কোটি টাকা শিগগিরই সংগ্রহ করব। সংগ্রহ হওয়া মাত্রই সেটা নারী ফুটবল দলকে প্রদান করব।’

বাফুফের তহবিল সংকট থাকলেও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অবশ্য বিত্তশালী। বাফুফের নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমেই মূলত সাবিনাদের বোনাসের অর্থ প্রদান করা হবে। জানা গেছে মেয়েদের এই বোনাসটা নতুন কমিটির সব সদস্য নিজেদের পকেট থেকেই দিবেন। একজন কর্মকর্তার কথায় মিলেছে সেই ইঙ্গিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘নির্বাহী সদস্যরা প্রত্যেকে ৫ লাখ টাকা, চার সহসভাপতি ১০ লাখ করে, সিনিয়র সহসভাপতি ১৫ লাখ এবং সভাপতি যদি ২০ লাখ টাকা দেন, তবেই প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো উঠে যায়।’ 

এর আগে ২০২২ সালেও সাবিনারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই সময় বাফুফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বা পুরস্কার ছিল না। তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৫০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দিয়েছিলেন সাফজয়ীদের।