সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী খালাস, প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী কারাগারে
সোমবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক নিলুফার শিরীন মামলার আসামিকে খালাস দিয়ে বাদী রাবেয়া আকতারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন আজম মাহমুদ। আপিলে হাসপাতালের জাল সনদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ২০২২ সালের ১৪ জুন বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে নিম্ন আদালতকে বিষয়টি যাচাইয়ের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে হাসপাতালের সনদ জাল হলে আসামির সাজার আদেশ বাতিল করে বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এ জন্য উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়। এ নির্দেশ পেয়ে যশোরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের আদেশ দেন। তদন্তে হাসপাতালের সনদটি জাল বলে প্রমাণিত হয়। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে পিবিআই। এরপর চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আদালত আজম মাহমুদকে খালাস দিয়ে বাদী রাবেয়া আকতারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন। আদালত থেকে আদেশ পেয়ে ২৯ জানুয়ারি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন আজম মাহমুদ।
এরপর গতকাল রোববার আদালত রাবেয়া আকতারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ সোমবার রাবেয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক নিলুফার শিরীন তাঁকে কারাগারে পাঠান। এ বিষয়ে যশোরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হাসপাতালের সনদ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আজম মাহমুদের সাজা বাতিল করে মামলার বাদীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ বাদী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ রাবেয়া আকতারকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: