শাস্তির আওতায় আসছে সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন

শনিবার পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সিলেটে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শাস্তির আওতায় আসছে সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন

প্রথম নিউজ,  সিলেট : সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে বন্ধুকে গোয়েন্দা সাজিয়ে অভিযানের ঘটনায় এবার শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক। শনিবার পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সিলেটে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।রিপন কুমার মোদকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

আইজিপি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে এমন অপকর্ম করে ছাড় পাওয়া যাবে না। শুধু রিপন কুমার মোদক নয়, পুলিশে অপকর্ম করে কেউই ছাড় পাবে না। কেউ অন্যায় করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। গত ২৫ জানুয়ারী দুই সোর্সকে বিশেষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পুলিশ প্রটোকল দিয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ ৭টি বাড়িতে মাদক উদ্ধারের নামে অভিযান চালান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ কয়েকজনকে হেনস্তা করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠে। 

গ্রামবাসী ভুয়া দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘটনার ৪ দিন পর রিপন কুমার মোদকের জুনিয়র এক কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি করেন পুলিশ সুপার। 

অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি। তদন্তে রিপন কুমার মোদকের বিরুদ্ধে দুই বন্ধুকে গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাজিয়ে অভিযানে পাঠানোর সত্যতা পায় কমিটি। এছাড়া আরো বেশ কিছু অন্যায়ের তথ্য উপাত্ত পায় তদন্ত কমিটি। 

তদন্ত কমিটি প্রায় এক মাস তদন্ত শেষে মার্চের মাঝামাঝি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রায় এক মাসে আগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলেও এখনও বহাল তবিয়তে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার মোদক। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।  শনিবার তিন দিনের সফরের শেষ দিনে সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। 

এসময় রিপন কুমার মোদকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত। পুলিশের কর্মকর্তাদের শাস্তির বিষয়টি নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সেই প্রক্রিয়া চলমান। তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।