শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন কিম জং-উন, যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন কিম জং-উন, যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল পাক সু ইলকে বরখাস্ত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি যুদ্ধের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে সেনাবাহিনীকে আরও বেশি করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো ও সামরিক মহড়া বিস্তৃত করারও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার শত্রুদের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে শত্রু কারা তা সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। 

কেসিএনএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেনারেল রি ইয়ং জিলকে এখন পাক সু ইলের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে রি তাঁর পদে বহাল থাকবেন কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে কিম জং-উন একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

গত সপ্তাহে কিম জং-উন অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, আরও বেশি করে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরি করতে হবে। কেসিএনএ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কিম মানচিত্রে সিউল ও আশপাশের এলাকাগুলো দেখাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে রাশিয়াকে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে আধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি নিয়ে মহড়া চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কিম।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উত্তর কোরিয়ায় সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে উত্তর কোরিয়া কয়েকটি আধা সামরিক বাহিনীও পরিচালনা করছে।

২১ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা। একে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে উত্তর কোরিয়া।