শিমুলিয়া ঘাটে বাড়ছে ভোগান্তি
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌ-রুটে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে শত শত গাড়ির উপস্থিতি দেখা যায়।
প্রথম নিউজ, মুন্সিগঞ্জ: ঈদযাত্রায় বাড়ি মুখে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই এ নৌ-রুট হয়ে গ্রামের পথে ছুটছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষেরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌ-রুটে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে শত শত গাড়ির উপস্থিতি দেখা যায়। তবে যানবাহন পারাপারে নৌরুটে ২টি মিনি রোরো, ২টি কে টাইপ ও ২টি ডাম্পসহ মাত্র ৮টি ফেরি সচল রয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহনের বিপরীতে ফেরির অপ্রতুলতায় পারপারে বেশি সময় লাগছে। এতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে রোগী ও শিশুরা পড়েছেন বেশি বিপাকে। তবে এদিন লঞ্চ ও স্পিডবোটঘাটে যাত্রী উপস্থিতি কম রয়েছে।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট ২৪ ঘণ্টা সচলের দাবি ফেরির যাত্রীদের। আকবর হোসাইন বলেন, একেতো রোজার দিন, তার উপর ঘাটে প্রচুর গরম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। বাংলাবাজার ঘাটে যদি রাতে ফেরি চলতো তাহলে এ ভোগান্তিতে আমাদের পড়তে হতো না। শত শত গাড়ি ঘাটে, কবে ফেরিতে উঠবো বলতে পারছি না।
কম করে হলেও ১৫টি ফেরি সচল হলে যাত্রী দুর্ভোগ কম হবে বলে মনে করেন যাত্রী নূর ইসলাম। তিনি জানান, গত বছর ১৫-১৭টি ফেরি ছিলো। তাতেও মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তবে এ বছর ভারী যানবাহন এ নৌরুটে পার হচ্ছে না। এটি একটি ভালো দিকে। কিন্তু এখনো মানুষের চাপ পুরোপরি পড়েনি। এখনই যদি এমন সমস্যা হয় তাহলে ঈদের আগেতো মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। অন্তত ১৫টি ফেরি সচল হলে যাত্রীর চাপ কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে হয়তো। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখলে ভালো হয়।
এদিকে ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় সকালের দিকে যানবাহনের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়। দুপুর থেকে চাপ কমে আসে। শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফায়সাল আহমেদ জানান, ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় বর্তমানে ২ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব যানবাহন পারাপার করা হবে। ফেরির পাশাপাশি দুই নৌরুটে ৮৩টি লঞ্চ ও ১৫৩ স্পিডবোট সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলাইমান।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews