শিবগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রারের ওপর হামলার ঘটনায় পরিদর্শনে এসে ক্ষোভের মুখে প্রতিনিধিদল

গতকাল বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

শিবগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রারের ওপর হামলার ঘটনায় পরিদর্শনে এসে ক্ষোভের মুখে প্রতিনিধিদল
শিবগঞ্জে সাবরেজিস্ট্রারের ওপর হামলার ঘটনায় পরিদর্শনে এসে ক্ষোভের মুখে প্রতিনিধিদল

প্রথম নিউজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অফিসকক্ষে সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলীর ওপর হামলার ঘটনায় পরিদর্শনে এসে ক্ষোভের মুখে পড়েছে নিবন্ধন অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন নিবন্ধন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক বীর জ্যোতি চাকমা, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক জিয়াউল হক ও জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগম।

পরিদর্শনে আসার খবর পেয়ে সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাঁদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন বজলার রশিদ ও আবদুল হামিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, উপজেলা শিল্প ও বণিক সমিতির কর্মকর্তা বশির উদ্দিন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় তাঁরা সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একই সঙ্গে সাবরেজিস্ট্রারের শাস্তির দাবি করে দ্রুত তাঁকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ সময় তাঁরা প্রতিনিধিদলের কাছে সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর ঘুষ–দুর্নীতির শিকার হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ। তাঁদের মধ্যে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সচিব, চিকিৎসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, শিক্ষক, ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় প্রতিনিধিদল।

জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগম বলেন, ‘আমরা উপস্থিত মানুষজনকে সাবরেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে অভিযোগ আহ্বান করি। কিন্তু ৬৩ জন হুবহু একই বক্তব্যসংবলিত লিখিত অভিযোগ দেন। কেবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগমের অভিযোগটি ছিল আলাদা। এতে তিনি উল্লেখ করেন, একটি দলিল সম্পাদনের জন্য ইউসুফ আলী ১ লাখ টাকা ঘুষ চান, তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।’

অভিযুক্ত সাবরেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এর ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: