নগরীর চেরাগী পাহাড় বৈঠকখানা হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমরেড শাহ আলম বলেন, সরকারকে বলব অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। সেটা অক্টোবরে হতে পারে, নভেম্বরে হতে পারে, ডিসেম্বরে হতে পারে। তবে ডিসেম্বরের বাইরে কোনোভাবেই না। এটা জাতির আকাঙ্ক্ষা। জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নির্বাচনের বিকল্প আর কিছু নেই।
সিপিবি সভাপতি বলেন, আমরা কোনো অসাংবিধানিক কেউ ক্ষমতায় আসুক, সেটা চাই না। আমরা চাই গণতন্ত্র, আমরা চাই নির্বাচন। মানুষের দম বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের দম বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার প্রধান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এসব ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে।
মিয়ানমারের আরকান আর্মিকে করিডোর বা ত্রাণ দেওয়ার জন্য কোনো করিডর দেওয়া হলে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসেফিক ভূরাজনীতির জটিল সমীকরণে বাংলাদেশে সম্পৃক্ত হলে দেশে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে বলে মন্তব্য করে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানান শাহ আলম। সিপিবি সভাপতি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশে স্বৈরশাসকের পতন হলেও গণতন্ত্র আসেনি, বরং দেশে ‘মবতন্ত্র’ চালু হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষ ২০১৪ সালে ভোট দিতে পারেনি, ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারেনি, ২০২৪ সালে ভোট দিতে পারেনি। শেখ হাসিনার আমলে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। লড়াইটা হয়েছে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হল, মিনিমাম সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে চলে যাওয়া, দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু উনারা সেটা না করে বড় বড় এজেন্ডা সামনে এনে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সিপিবি’র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, নুরুচ্ছাফা ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
